দীর্ঘ দিন ধরে শারীরিক ভাবে নানা ধরনের জটিলতায় ভুগছেন বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এক্ষেত্রে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতির জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে বেগম জিয়ার ভাই।তবে এই বিষয়ে আইনমন্ত্রী জানিয়েছে বিদেশ নেওয়ার আবেদন প্রক্রীয়া আগেই নিষ্পত্তি হয়েছে। এক্ষেত্রে নতুন করে কোন সুযোগ নেই। তবে এই বিষয়ে এবার সরকারের কাছে অনুরোধ রাখলেন বিএনপি দলের মহা সচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা গুরুতর। তাই রাজনীতির ঊর্ধ্বে গিয়ে চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে পাঠাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে এমন অনুরোধ জানান তিনি। ক/রো/না ভা/ই/রাসে আক্রান্ত হয়ে এ বছরের ২৭ এপ্রিল রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। তখন ৫৪ দিন হাসপাতালে থাকতে হয় তাকে।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কা/রা/দণ্ড হয়। এরপর প্রথমে পুরান ঢাকার বিশেষ কারা/গা/র ও পরে কারা/ব/ন্দি অবস্থায় বিএসএমইউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার নির্বাহী আদেশে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ ছয় মাসের জন্য তারা সাজা স্থগিত করে মুক্তি দেয়। এরপর আরও তিন দফায় তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ায় সরকার।
বেগম জিয়ার নামে একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি ছাড়াও দলের অসংখ্য নেতাকর্মীদের নামে একাধিক মামলা রয়েছে। এদিকে জিয়া অরফানেজট্রাষ্ট দূর্নীতি মামলায় সাজা ভোগ করছেন বেগম জিয়া। অবশ্যে বর্তমান সময়ে বেশ কিছু শর্তের মধ্যে দিয়ে তিনি জামিনে রয়েছেন।