তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি সভানেত্রী খালেদা জিয়া, দলটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারেক রহমান এবং তার কন্যা জাইমা রহমানকে নিয়ে করা মন্তব্যকে ‘অশ্রাব্য এবং অশালীন’ বলে আখ্যায়িত করেছে ‘নারীপক্ষ’। গতকাল (রবিবার) অর্থাৎ ৫ ডিসেম্বর নারী অধিকার বিষয় নিয়ে কাজে নিযুক্ত তামান্না খান পপি যিনি একটি বেসরকারি সংস্থার আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন তার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই ধরনের ক্ষোভ প্রকাশ করে সংগঠনটি।
বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমান সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান গত ৪ ডিসেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে সাবেক বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তার ছেলে তারেক রহমান এবং নাতনি জাইমা রহমান সম্পর্কে যে নোংরা গালাগালি করেছেন এর জন্য তার বিরুদ্ধে কোনো প্রকার শা’স্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়নি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কোনো নারীকে গালি দেওয়া এবং নারী বিদ্বেষী কথন কী করে একজন জনপ্রতিনিধি কেবল নয়, মন্ত্রী পরিষদের সদস্যও বটে, উচ্চারণ করতে পারেন এবং এর জন্য আবার গর্ব প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমান সরকার দাবি করেন যে তারা নারীবান্ধব। নারীর প্রতি ন্যূনতম সম্মান রেখে কথা বলতে পারেন না সেই ব্যক্তি তারপরও কী করে পদে বহাল থাকেন? নারীপক্ষের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ প্রত্যাশা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১ ডিসেম্বর রাতের দিকে ‘অসুস্থ খালেদা, বিকৃত বিএনপি নেতাকর্মী’ এমন শিরোনামের একটি ফে’সবুকে লাইভ অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুরাদ হাসান। লাইভটি হোস্ট করেছেন নাহিদ রেইনস নাম দেওয়া একজন ইউটিউবার এবং ফে’সবুক ব্যবহারকারী।
বিএনপির রাজনীতি নিয়ে লাইভ সমালোচনা করার এক সময়ে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ও দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে নানা মন্তব্য করেন তিনি। এছাড়া বিএনপি সভানেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্ম বিষয় এবং তার পরিবার নিয়েও বেশ কিছু সমালোচনামূলক কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। তার এই ধরনের সমালোচনামূলক বক্তব্য একজন রাজনৈতিক ব্যক্তির নিকট থেকে কোনোভাবে কাম্য নয় বলে জানান নারীপক্ষের কর্মীরা। প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের একটি ফোনালাপও প্রকাশ পেয়েছে, যেটা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।