দেশে শিক্ষাঙ্গনে প্রশ্নপত্র ফাস কিংবা প্রক্সি দেওয়ার ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে এবং সেই সাথে এই ধরনের অপরাধ এর প্রবনতা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। অনেকক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে এই কর্মকান্ড করতে গিয়ে আওনেকেই আইনের আওতায় আসলেও বেশিরভাগ ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রথম বর্ষ স্নাতক ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জান্নাতুল মেহজাবিন। মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) দুপুরে ‘এ’ ইউনিটের তৃতীয় শিফটে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা গেছে, জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের ১৫০ নম্বর কক্ষে ৬২৮২৮ নম্বর রোল পরীক্ষার্থী ইসরাত জাহানের পরিবর্তে পরীক্ষা দিতে যান জান্নাতুল মেহজাবিন। কিন্তু আগে থেকেই গোয়েন্দা নজরদারিতে থাকায় তাকে ধরা পড়ে। পরীক্ষা চলাকালে প্রক্টর অফিসে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে প্রক্সির বিষয়টি স্বীকার করেন জান্নাতুল মেহজাবিন। এ সময় তার মোবাইল ফোনে চেক করে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৩ লাখ ৩২ হাজার ৫৫১ টাকা পাওয়া যায়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, গত প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সি দিয়েছিলেন জান্নাতুল মেহজাবিন। তিনি তিনজন প্রার্থীকে প্রক্সি দিয়ে পাস করেছেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্সি দেওয়ার ঘটন সামাজীক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যপক আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে এবং এই ঘটনাটি যে ঘটিয়েছে তার ব্যপারে অনেক তথ্য ইতিমধ্যে প্রকাশ পেতে শুরু করেছে। এই ঘটনার প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ভুয়া পরীক্ষার্থী জান্নাতুল মেহজাবিনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তার কাছ থেকে তারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে। রাবি পরীক্ষায় জালিয়াতির দায়ে তাকে দুই বছরের কারাদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।