তারকা দম্পতির ব্যক্তিগত জীবনের চিত্র একের পর এক প্রকাশের মাধ্যমে বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না। একে অন্যকে দোষী বানানোর চেষ্টায় নানা রকম কর্মকান্ডে লিপ্ত রয়েছে সুবাহ ও ইলিয়াস। বিয়ে তাদের দুজনের জীবনের জন্য বর্তমান সময়ে কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। আপত্তি”কর ব্যাক্তিগত ( Private ) তথ্যের প্রকাশ করায় প্রচুর সমালোচনা মুখে পড়েছেন এই দম্পতি।
গত বছরের ১ ডিসেম্বর ( December ) তাদের বিয়ে হয়। কিছুদিন পর বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসে। কিন্তু সেই সুসংবাদ বেরিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে নানা বিতর্কের অবতারণা হয়।
এক মাসের মধ্যে ইলিয়াস-সুবাহ দম্পতির মধ্যে ফাটল ধরে। সুবাহ বাদী হয়ে ইলিয়াসের বিরুদ্ধে প” গ্রাফি আইনে যৌতুক দাবিসহ মামলা করেন। অন্যদিকে, ইলিয়াসও সুভারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন। দুজনই বর্তমানে আদালতে লড়ছেন। সেখানেই তাদের সব অভিযোগের সমাধান করা হবে।
চলমান এই দ্বন্দ্বের মধ্যেই সামনে এসেছে নতুন খবর। ইলিয়াসের আগে আরেকটি বিয়ে করেছিলেন সুবাহ! ২০১৭ সালে ( ) গাইবান্ধা ( Gaibandha ) থানায় দায়ের করা একটি অভিযোগের ভিত্তিতে এই বিয়ের গুঞ্জন।
সেখানে প”গ্রাফি আইনে অভিযোগ করেন সুবাহ। অভিযোগ অনুসারে, তিনি একটি অবৈধ সম্পর্কের সাথে ধরা পড়েছিলেন এবং এটি তার মোবাইল ফোনে রেকর্ড করা হয়েছিল। পরে তাকে ব্ল্যাকমেইল করা হয়। সুবাহার জানান, মামলার কপিতে সাক্ষী হিসেবে তার স্বামীর নাম লেখা হয়েছে। ইয়াসির আরাফাত। ( Yasser Arafat. ) মামলার একটি অনুলিপি তার বর্তমান স্বামী গায়ক ইলিয়াসের কাছে প্রকাশ করেছেন সুবাহার। ( Subahar. ) তবে সুবাহ ইলিয়াসের ( Subah Elias ) অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
আজ (১৬ মার্চ) সকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও বার্তা পোস্ট করেন ইলিয়াস। অন্যদিকে, সুবাহ আজ বিকেলে তার ফে”সবুক ওয়ালে একটি কল রেকর্ড শেয়ার করেছেন। ইলিয়াস ও সুবাহের মধ্যে কিছু বিরক্তিকর কথাবার্তা হয়। তাদের কল রেকর্ডের ইউ টিউব লিঙ্ক শেয়ার করে সুবাহ লিখেছেন, এটাও কি জিরার জল খাচ্ছিল? এ কথা শুনলেই বুঝবেন কাকে সমস্যায় ঝুলিয়ে বিয়ে করা হয়েছে এবং সে (ইলিয়াস) খুবই লোভী মানুষ!
অপর এক স্ট্যাটাসে সুবাহ বলেন, আমার প্রয়ান বা নিখোঁজের জন্য ইলিয়াস ও তার পরিবার দায়ী। সেখানে নিজের একটি ছবিও জুড়ে দেন তিনি। পাঠকের জন্য সুবাহার স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
ইলিয়াস নিজেও আমার আগে তিন-চারবার বিয়ে করেছে, সব খবরে সবার কাছ থেকে ডলার ও টাকা নিয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন তার প্রথম স্ত্রী আমেরিকা প্রবাসী নিশাত তাবাসসুম আলম। আমি তার দ্বিতীয় স্ত্রী, একজন সুইডিশ প্রবাসী এবং তার মায়ের সাথে কথা বলেছি, তিনিও বলেছেন যে তিনি বিভিন্ন সময় তাদের কাছ থেকে টাকা নিতেন। আমার কাছে এই রেকর্ড আছে।
আমি যদি আগে বিয়ে করে থাকি, তাহলে অবশ্যই আমার পূর্বের বিয়ের সার্টিফিকেট আছে। ক্যাবিনেট লেটার বা রেজিস্ট্রি পেপার ছাড়া বিয়ে করা যাবে না। এসব পরস্পরবিরোধী মিথ্যাচার প্রচার করে তিনি আমার দেওয়া মামলা এড়াতে চান। কারণ, আমি যেন মামলা করিনি এবং স্ট্যাম্প ডিউটি না দেওয়ার ষড়য’ন্ত্রও করছি। আমি জানি সে একজন নারী এবং অর্থের লোভী একজন পুরুষ। তাই সবাইকে বললাম দেনমোহরের টাকা চাই, এটা আমার দোষ। এত দিন পর নাটক সাজানো হচ্ছে।
কাবিননামায় এত কম টাকা দিয়ে আমি আমার আগের তিন বিবাহিত পুরুষকে কিভাবে ঠকাতে পারি? ধোকা দিয়ে আমার বিয়ে হলে দেনমোহর ৭৭ লাখ টাকা হতো। এখন শুধু ৭ লাখ ৭৭ হাজার টাকাই থাকত না। তিনি দোষী কি না তা আদালতে প্রমাণিত হবে ইনশাআল্লাহ। আমার ১০০টি বিয়ের কথা বলা আমাকে ভাইরাল করতে পারে, কিন্তু মামলা এড়ানো যায় না।
আর আমার কোনো ধরনের ক্ষতি হলে এবং আমি প্রয়াত গেলে বা নিখোঁজ হলে ইলিয়াস হোসেনসহ পুরো পরিবার দায়ী থাকবে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। সে সব সময় ভয়ভী’তি দেখিয়ে নানাভাবে আমার ক্ষতি করার চেষ্টা করে। এতে আমি খুব ভেঙে পড়েছি।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে বাংলাদেশে বহুল আলোচিত ঘটনাবলীর ভিতরে সুবাহ-ইলিয়াসের ঘটনাটি শীর্ষ স্থান দখল করে বসে আছে। সম্প্রতি তাদের দুজনের ব্যক্তিগত আপত্তিকর ফোনালাপকে কেন্দ্র করে নেট দুনিয়ায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় তুলেছে। এই বিষয়টি অস্বীকার করে সুবাহ গনমাধ্যম কর্মীদের সামনে বলেন, তাকে ক্ষতি করার জন্য এ ধরনের পথ বেঁছে নিয়েছে ইলিয়াস।
ফোনালাপের অডিওটি পাওয়া যাবে ইউটিউবে।