গত বছর কয়েক আগেই প্রকাশ্যে গুলি করে প্রয়াত করা হয় মাহমুদা খানম মিতুতে। যিনি সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের সহধর্মীনি। প্রথমত তার মৃ”ত্যু’র রহস্য উদ্ঘটনা করতে গিয়ে নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় আইনশৃঙ্খা বাহিনীকে। কি এমন কারনে তার সঙ্গে এমনটা ঘটলো, তার কোনো কারনই যেন খুঁজে পাচ্ছিল না পুলিশ।
তব এরই মধ্যে মাহমুদা খানম মিতুর ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত শেষ করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। অভিযোগপত্র প্রস্তুত করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মামলার সাক্ষ্যস্মারকে (এমওই) সইও করেছেন।
তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযোগপত্রে বলা হয়, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থায় কর্মরত এক বিদেশি নাগরিকের সঙ্গে বাবুলের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক তাদের পরিবারে অশান্তি সৃষ্টি করে। এ কারণে আক্তারের স্ত্রী’কে ‘হ”ত্যা”’র সিদ্ধান্ত নেয় বাবুল। আর স্ত্রীকে ‘হ”ত্যা”’র জন্য তিন লাখ টাকায় ”খু”নি”ভাড়া করে। সে নিজেকে আড়াল করে প্রচার করে- মিতুকে ‘হ”ত্যা” করেছে জঙ্গিরা। মিতুকে ”খু”নে”র মিশনে নেতৃত্ব দিয়েছে পুলিশ কর্মকর্তা বাবুলের ‘সোর্স’ মো. কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা। সঙ্গে ছিল আরও ছয়জন। এ ঘটনার পর বাবুল মুসাকে ফোন করে তাকে গা ঢাকা দিতে বলেন।
অভিযোগপত্রে এ মামলার বাদী বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। বাকি ছয় আসামি হলেন- মোঃ কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা, এহতেশামুল হক প্রকাশ হানিফুল হক প্রকাশ ভোলাইয়া, মোঃ মোতালেব মিয়া ওয়াসিম, মোঃ আনোয়ার হোসেন, মোঃ খায়রুল ইসলাম কালু ও শাহজাহান মিয়া।
এদিকে সংবাদ মাধ্যমকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করে পিবিআই প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক বনজ কুমার মজুমদার জানিয়েছেন, সাবেক পুলিশ সুপার বাবুলের স্ত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্তের কাজ প্রায় শেষ।অভিযোগপত্র প্রস্তুত করা হচ্ছে। তবে আদালতে আদালতে দাখিল আরও কয়েকদিন সময়ের প্রয়োজন বলেও জানিয়েছেন তিনি।