বিশ্বে বর্তমানে তারকা ফুটবলের মধ্যে অন্যতম হলে লিওনেল মেসি। এই তারকা তারকা ফুটবলর নতুন করে একটি ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি করেছেন। তিনি এবার প্যারিসর সব থেকে ব্যয় বহুল ক্লাবের হয়ে খেলবেন। নতুন ক্লাবটি প্রতি সপ্তাহে তাকে কোটি কোটি টাকা দিবে। এমনকি তার কোনো ইচ্ছাই কমতি রাখছে না ওই ক্লাবটি। এবার প্রকাশ্যে এলো, প্রতি রাতে মেসির হোটেলে থাকার খরচই কত লাখ টাকা। এছাড়া ওই হোটেলে কি কি সুযোগ সুবিধা রয়েছে তা সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য প্রকাশ্যে এলো।
বার্সার সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করে পাড়ি জমিয়েছেন এই শহরের ক্লাব পিএসজিতে। ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ফুটবলারের আপ্যায়নে অবশ্য কমতি রাখছে না ক্লাবটি। ৩৪ বছর বয়সী মেসি সপরিবারে বর্তমানে অবস্থান করছেন প্যারিসের বিলাসবহুল হোটেল লে রয়্যাল মনোসোতে।
কাতারভিত্তিক প্রতিষ্ঠান কাতারা হসপিটালিটির মালিকানাধীন এই পাঁচ তারকাবিশিষ্ট হোটেলটি প্যারিসের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থিত। ২০১৭ সালে নেইমারও পিএসজিতে নাম লেখানোর সময় অবস্থান করেছিলেন এখানে। বিলাসবহুল এই হোটেলটিতে সর্বনিম্ন রুম ভাড়া ৭০০ পাউন্ড। তবে স্ত্রী আর সন্তানসহ সেখানে অবস্থানরত মেসির পেছনে প্রতি রাতে সেখানে ব্যয় হচ্ছে ১৭ হাজার পাউন্ড করে!
বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় ২০ লাখ টাকা! হোটেলটির অফিসিয়াল ইন্সটাগ্রাম একাউন্টে ইতিমধ্যে মেসির আগমনের একটি ভিডিও পোস্ট করে। এছাড়া মেসির পিএসজির জার্সি ছবিও পোস্ট করে তারা। সেখানে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘এমন ধরনের প্রতিভাবান খেলোয়াড়কে পিএসজিতে স্বাগতম জানানোটা আসলেই গৌরবের।’
মেসির জন্য সেখানে আলাদা বিলাসবহুল সুইমিং পুল, একটি সিনেমা হল, এবং ফ্রেন্স কুজিন সার্ভ করার জন্যে ছয়টি রেস্টুরেন্টের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। হোটেলটি সুস্বাদু স্টেইকের জন্য বিখ্যাত। যার মূল্যই কিনা ৬৭ পাউন্ড!
প্যারিসের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা হোটেলটি চালু করা হয় ১৯২৮ সালে। তবে ১১ বছর আগে এর কিছু রুম সংস্কার করা হয়। ওয়াল্ট ডিজনি, উইন্সটন চার্চিল, রবার্ট ডি নিরোর মতো সেলেব্রেটিরা এই হোটেলে থেকে গেছেন।
উল্লেখ্য, পিএসজি ক্লাবে অসংখ্য তারকা ফুটবলার রয়েছে। ওই সকল তারকা ফুটবলারদের প্রতি সপ্তাহে কোটি কোটি টাকা দেয় ক্লাবটি। তবে বর্তমানে ক্লাবটি লিওনেল মেসি কে সব থেকে বেশি অর্থ দিচ্ছে। একই সঙ্গে একাধিক সুযোগ যুবিধা দিচ্ছে ক্লাবটি। এমনকি সব থেকে নামি হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওই হোটলে একাধিক সুবিধা পাচ্ছে লিওনেল মেসি। আর লিওনেল মেসি পিএসজি ক্লাবে আসার পরই ওই ক্লাবের ফ্যান সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।