দেশে দেশে কিছু অসাধু সরকারি কর্মকর্তা নানা রকম অনিয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেয়। তবে এই সকল অসাধু কর্মকর্তাদের অনিয়মের চিত্র সব সময় প্রকাশ্যে আসে না। এদিকে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দুর্নীতি দমন বিভাগ অসাধু ব্যক্তিদের ধরার চেষ্টা করে চলে। তেমনি এবার রাশিয়া দুর্নীতি দমন বিভাগ একজন অসাধু ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে নেমে বড় রকমের অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র পেল। এমনকি ওই অসাধু ট্রাফিক পুলিশের বাড়ি সোনার সিনিসপত্র পাওয়া গেছে।
ট্রাফিক পুলিশের এক আঞ্চলিক প্রধানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে রাশিয়ার দুর্নীতি দমন কর্মকর্তাদের চোখ ছানা’বড়া হয়েছে। তল্লাশি চালিয়ে ওই বাড়িতে প্রাসাদোপম বাড়ি, বিলাসবহুল গাড়ি, দামী আসবাবপত্র, নগদ অর্থ, এমনকি সোনায় মোড়া টয়লেটও দেখতে পাওয়া যায়। খবর বিবিসি বাংলার।
রাশিয়া দুর্নীতি দমন বিভাগ বলছে, দুর্নীতিবাজ কিছু পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক তদন্তের অংশ হিসেবে রুশ ইনভেস্টিগেটিভ কমিটি (এসকে) যখন দক্ষিণাঞ্চলীয় স্টাভরোপল প্রদেশের ট্রাফিক বিভাগের প্রধান কর্নেল অ্যালেক্সই সাফোনভের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়ে এই বিষয়গুলো ধরা পড়ে।
এদিকে, দুর্নীতির অভিযোগ কর্নেল সাফোনভ এবং ছয়জন পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এরা ঘু”ষে”র বিনিময়ে ব্যবসায়ীদের কাছে ট্রাফিক পারমিট বিক্রি করতো। এই পারমিট ব্যবহার করে ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে বহন করা খাদ্য এবং নির্মাণ সামগ্রী পুলিশের চেকপোস্টের ভেতর দিয়ে পার করতো বলে এসকে কর্মকর্তারা অভিযোগ করছেন।
তবে এসব অভিযোগের ব্যাপারে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তারা এখনও কোন বক্তব্য দেননি। উত্তর ককেশাস অঞ্চলের পুলিশ এই দুর্নীতির তদন্তে ৮০টির বেশি বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে। এসকে হলো অনেকটা যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআইয়ের আদলে গঠিত তদন্ত সংস্থা। এর কর্মকর্তারা বলছেন, সাফোনভ গ্যাংয়ের সদস্যরা গত কয়েক বছর ধরে ১৯ মিলিয়ন রুবলেরও বেশি অর্থ পকেটস্থ করেছে।
উল্লেখ্য, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কিছু অসাধু সরকারি কর্মকর্তা নানা রকম অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়ে এমন ভাবে বাড়ি তৈরি করে। তবে অনেক সময় তা প্রকাশ পায় না। এবার এই অসাধু কর্মকর্তাকে ধরেছে দেশটির দুর্নীতি দমন বিভাগ। তারা আরও খতিয়ে দেখছে যে ওই অসাধু ব্যক্তি আরও কোথায় কোথায় অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করেছেন। এছাড়া তার আরও সম্পতি রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।