সম্প্রতি রহিমা বেগম নামে এক নারী নিখোঁজ হয় খুলনার মহেশ্বরপাশা এলাকার নিজ বাড়ি থেকে। রহিমা বেগমের সন্ধানে সংবাদ সন্মলেন করে মাকে পাওয়ার আকুতি জানিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে মেয়ে মরিয়ম মান্নান। পরে পুলিশের তদন্তের মাধ্যমের মাধ্যমে তাকে ফরিপুর থেকে উদ্ধার করা হয়। রহিমা বেগমের উদ্ধার হওয়ার পর থেকে ঘটনাটি চিত্র পাল্টে যায়। তার নিখোঁজ হওয়ার বর্নণার সাথে ঘটনার মিল পাচ্ছে না পুলিশ।
খুলনায় তদন্তে আলোচিত রহিমা বেগমকে অপহরণের কোনও প্রমাণ পায়নি পিবিআই। বরং জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষকে ফাঁ/সাতে অপহরণের নাটক সাজান তারা। ফলে ফেঁসে যাচ্ছেন রহিমা বেগম ও তার সন্তানরা। রহিমার মেয়ে মরিয়ম এখন তার সুর পাল্টে বলছেন, মা অথবা তার ভুল-অন্যায় থাকলে সংশোধন করবেন। এদিকে কথিত অপহরণ মামলায় সহসা মুক্তি মিলছে না আটক ৬ জনের।
পিবিআই খুলনার পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান জানান, আদালতে জবানবন্দিতে রহিমা অপহরণকারীদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার পর পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে ট্রেনে ঢাকায় যাওয়ার কথা জানান। কিন্তু সেখানে কোনও রেল লাইনই নেই। এছাড়া রহিমা যে ফরিদপুরে ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে ভুয়া জন্ম নিবন্ধন করতে গিয়েছিলেন তারও প্রমাণ মিলেছে।
রহিমাকে উদ্ধারের পর এবার সুর পাল্টেছেন তার মেয়ে মরিয়ম মান্নান। তিনি বলছেন, তার মা অথবা নিজের ভুল থাকলে সংশোধন করবেন।
এদিকে রহিমা বেগম অপহরণ মামলায় এক মাস কারাভোগ করছেন ৬ জন। মেলেনি জামিন, সহসা মুক্তি মিলছে না তাদের। মঙ্গলবার পরিবারের সদস্যরা সংবাদ সম্মেলন করে তাদের মুক্তি, রহিমার শাস্তির দাবি ও তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ঘোষণা দেন।
উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট খুলনার মহেশ্বরপাশা এলাকার বাসা থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন রহিমা বেগম। পরদিন অপহরণের অভিযোগ এনে মামলা করেন মেয়ে আদুরী আক্তার।
প্রসঙ্গত, অপরহরনের ঘটনার সাথে রহিমা বেগমের বক্তব্যের কোনো প্রমাণ মিলছে না বলে তথ্য দেওয়া হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। তবে বিষয়টি সাথে পরিবারের সদস্যের হাতে আছে বলে দাবি করছেন ঘটনার দায়ে যাদের আটক করা হয়েছে তাদের পরিবার।