ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ককে ‘খুব মধুর’ উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বাংলাদেশের বন্ধু।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
মোমেন বলেন, “তিনি (পিটার হাস) আমাদের বন্ধু। বন্ধু হলে ভালো বা মন্দ বলবেন। তারা (মার্কিন) আমাদের বন্ধু। আমরা এটি (পরামর্শ) পছন্দ করি। আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করব।”
তিনি আরও দাবি করেন, “সরকার নির্বাচনের আগে কোনো রাজনীতিবিদকে হয়রানি করছে না, কিন্তু অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত ‘সন্ত্রাসীদের’ গ্রেপ্তার করছে।”
৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়নের জন্য সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের বিক্ষোভের বিষয়ে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
সরকার ও নির্বাচন প্রক্রিয়ার প্রতি আস্থাহীনতার কথা উল্লেখ করে নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপি। তাদের গত ২৮ অক্টোবরের সমাবেশ সহিংস রূপ নেয়। ফলে সরকার বিএনপির অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে। এরপর থেকে বিএনপি অবরোধ ও হরতাল করে আসছে।
নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে দলগুলোর মধ্যে আলোচনায় মধ্যস্থতায় সক্রিয় ছিলেন পিটার হাস।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী অবশ্য বলেছেন, “সরকার কোনো রাজনীতিবিদকে হয়রানি করছে না।”
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করছি…যারা মানুষ হত্যা করেছে, বাসে আগুন দিয়েছে ও সম্পত্তি ধ্বংস করেছে…পুরো বিশ্ব সন্ত্রাসীদের প্রতি শূন্য সহিষ্ণুতা দেখায়।”
এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, “মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি আদর্শ দেশ। বাংলাদেশ মানবাধিকার বিষয়ে অন্যদের শিক্ষা দিতে পারে।”
তিনি বলেন, গাজার দিকে তাকান, সেখানে কী হচ্ছে? অনেক উন্নত দেশে, ক্লাবে, স্কুলে, যে কোনও জায়গায় মানুষকে হ”ত্যা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের সম্পর্ক খুবই মধুর।
তিনি বলেন, আমরা সম্পর্ক আরও জোরদার করার অপেক্ষায় আছি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “অবশ্যই আমরা সবাই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। তারা (মার্কিন) অহিংস নির্বাচন চায়। আমরা বলেছি এটা সব দলের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের পরামর্শ দেয় কারণ তারা আমাদের বন্ধু।”
সিভিল এভিয়েশনের সঙ্গে পিটার হাসের বৈঠক এবং নির্বাচনের আগে বোয়িং থেকে বিমান কেনার কোনো সুযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে মোমেন বলেন, ‘বিক্রি বা ক্রয়ের সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই।’
পিটার হাসকে বিরক্ত না করার জন্য সাংবাদিকদের অনুরোধ করে তিনি বলেন, “সব দেশ তাদের পণ্য বিক্রি করতে চায়। এটা স্বাভাবিক। আমাদের কূটনীতিকরাও আমাদের পণ্য বিক্রি করতে চান। এটা খুবই স্বাভাবিক।”
তিনি বলেন, “বৈচিত্র্যের অংশ হিসেবে সরকার এয়ারবাস থেকে বিমান কিনবে।”
ঘানায় তার সাম্প্রতিক সফরের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যৌথভাবে সেখানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা অভিযানের আয়োজন করেছি।