এ পর্যন্ত অর্থ পাচারের অভিযোগে যারা অভিযুক্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদারের মতো কারও নাম আর আলোচনায় আসেনি। পিকে হালদার সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা অর্থ লোপাট করার পর দেশজুড়ে আলোচনায় এসেছেন। এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক লি. ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লি. এর সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সময় তিনি এই অর্থ লোপাট করেন। তিনি ভারতে আত্মগোপনে ছিলেন ভারতে।
পিকে হালদারকে বাংলাদেশে মানি লন্ডারিং মামলার আসামি ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গ্রেপ্তারের পর হস্তান্তরের জন্য ঢাকা আবারও দিল্লিকে অনুরোধ করেছে।
গত সোমবার ঢাকায় দুই দেশের মধ্যে তৃতীয় কনস্যুলার সংলাপের সময় ব’ন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় এ অনুরোধ জানানো হয়। তবে ভারত আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তাকে ফে’রানোর আশ্বাস দিয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, পিকে হালদারের প্রত্যর্পণ এবং কারাব’ন্দী নাগরিকদের দ্রুত প্রত্যাবাসন, বিশেষ করে পাচার হওয়া নারী ও শি’/শুদের প্রত্যাবাসন, পারমিট ইস্যু, প্রস্থান সহজীকরণ, দীর্ঘ সময়ের জন্য কনস্যুলার পারমিট ইস্যুসহ ভ্রমণ সংক্রান্ত নানা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে দুই দেশ। বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস। আর ভারতের পক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (কনস্যুলার, পাসপোর্ট ও ভিসা) ড. আউসফ সাঈদ নেতৃত্ব দেন।
বৈঠকে উপস্থিত বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের একজন সদস্য দেশের একটি গনমাধ্যমকে বলেন, বৈঠকে দুই দেশের কনস্যুলার সব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। উভয় দেশই অধিকাংশ বিষয়ে চলমান সমস্যা সমাধানে সম্মত হয়েছে। পিকে হালদারের প্রত্যর্পণের অনুরোধে রাজি ভারত। তবে এখনই তাকে ফেরানো সম্ভব হবে না বলে জানান তারা। দেশে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শেষ হলে তাকে ফেরত দেবে দিল্লি।
ঢাকার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পিকে হালদারকে গত মে মাসে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য, দেশের শীর্ষ ঋণখেলাপিদের একজন হিসেবে তালিকায় নাম উঠে আসে পিকে হালদারের নাম। তিনি যেভাবে দেশের আর্থিক খাতে অর্থ লোপাটের কান্ড ঘটিয়েছেন সে রকম চরিত্রের লোক আর একজনও দেশে পাওয়া যায়নি। পিরোজপুরে জন্মগ্রহণ করা পিকে হালদার বুয়েট থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন, এরপর তিনি আইবিএ থেকে এমবিএ সম্পন্ন করেন।