মহিউদ্দিন আহমেদ ছিলেন বাংলাদেশের একজন নামকরা কূটনীতিক। তিনি ছিলেন অত্যান্ত সৎ, সাহসী ও নির্লোভ ব্যক্তি। কূটনীতিবিদ মহিউদ্দিন আহমেদ কখনো অন্যায়ের সাথে আপস করেননি। আলোচিত এই কূটনীতিবিদ মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বও দিয়ে ছিলেন বলে মন্তব্য করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এবার তাকে নিয়ে যা বললেন ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের কূটনীতিবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন আহমদকে প্রতিবছর স্মরণ করা এবং স্কুল বইতে তার জীবনী পড়ানো আবশ্যিক দায়িত্ব হিসেবে বিবেচিত হওয়া উচিত।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, মহিউদ্দিন আহমেদ একজন সাহসী কূটনীতিক ছিলেন। তিনিই প্রথম পাকিস্তানি কূটনীতিক যিনি পাকিস্তানে সকল সুযোগ উপেক্ষা করে আর্থিক সংকটের মধ্যে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর পরামর্শক ও সমর্থক হিসেবে বাংলাদেশের মুক্তি আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। স্বাভাবিক জীবন যাপন করায় তার নিজস্ব কোন গাড়ি ছিল না, উত্তরায় তার বাসা থেকে পাবলিক বাসে যাতায়াত করতেন।
মহিউদ্দিন আহমেদের মৃ/ত্যু দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি হলো জানিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, লন্ডনস্থ ‘ভয়েস ফর গ্লোবাল বাংলাদেশিজ’ সংগঠনের পক্ষ থেকে অধ্যাপক হাসনাত হোসাইন এমবিই এবং জাতির পক্ষ থেকে তার একটি প্রতিকৃতি ভাস্কর্য লন্ডনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস চত্বরে এবং ঢাকায় জাতীয় যাদুঘরে স্থাপনের জন্য সরকারের প্রতি আবেদন করছি।” তিনি সম্মানিত হলে দেশ সম্মানিত হবে। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস লিখতে সহায়ক হবে।
তিনি বলেন, অর্থনীতি, পররাষ্ট্রনীতি, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, দারিদ্র্য, উন্নয়নসহ নানা বিষয়ে তার বাংলা ও ইংরেজিতে দেশে-বিদেশে প্রকাশিত লেখা এবং স্মৃতি, গুণাবলী আমাদের জাতির ইতিহাসে আজীবন উজ্জ্বল হয়ে থাকবে।
প্রসঙ্গত, স্কুলের পাঠ্য বইতে কূটনীতিবিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন আহমেদের জীবনী পড়ানোর দাবি জানান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, উনার মত ব্যক্তির ইতিহাস জানা আমাদের উচিত।