পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে ইমরান খানের তেহরিক-ই-পাকিস্তান (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এখন পর্যন্ত ৯৯টি আসনে জয়ী হয়েছে।
দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল-এন) তারা ৭১টি আসন পেয়েছে।
আর বিলওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ৫৩টি আসনে জয়ী হয়েছে। এমকিউএম জিতেছে ১৭টি আসন। এ ছাড়া অন্য দলগুলো পেয়েছে ১০টি আসন। শুক্রবার এই নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বিবৃতিতে বৃহস্পতিবারের নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এছাড়াও নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।
এই নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমানে কারাগারে বন্দী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এবং আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এর মধ্যে ।
যাইহোক, আইনি বাধার কারণে, পিটিআই-সমর্থিত প্রার্থীরা স্বতন্ত্র হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তবে ভোটের ফলে উভয় দলই নিজেদের বিজয়ী বলে দাবি করেছে।
পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ২৬৬টি আসনে সরাসরি ভোট হয়। ভোটের আগে দুর্বৃত্তদের গু/লিতে একজন প্রার্থী নি/হত হওয়ার পর একটি আসনে ভোট স্থগিত করা হয়েছিল। তাই এবার ২৬৫টি আসনে ভোট হয়েছে। একক সরকার গঠনের জন্য একটি দলকে ১৩৪টি আসন জিততে হবে।
পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৫০টি আসনের ফলাফল ঘোষণা করেছে। এবারের নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছি যুক্তরাষ্ট্র।
বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বাচনে অধিকারকর্মীদের আটক করা হয়েছে। এছাড়াও, অনিয়ম, হস্তক্ষেপ ও জালিয়াতির অভিযোগের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া উচিত।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, বাকস্বাধীনতা ও সমাবেশে অযৌক্তিক বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। একই সঙ্গে সাংবাদিকদের ওপর স/হিংসতা ও হা/মলার ঘটনাও দেখা গেছে।
ডেমোক্র্যাটিক কংগ্রেসম্যান রো খান্না এবং ইলহান ওমরের মতো মার্কিন আইনপ্রণেতারা পাকিস্তানের নির্বাচন নিয়ে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
রো খান্না সরাসরি বলেছেন, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ করেছে। ভোটের ফলাফলে কারচুপি হয়েছে।
খান্না এবং ইলহানের দাবি, অনিয়মের অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের পাকিস্তানের নির্বাচনে বিজয়ী দলকে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত হবে
না।