পাকিস্তানের ডেইলি টাইমস-এ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে পদ্মাসেতুর মত আকাশ ছোঁয়া এক সপ্নকে বাস্তবে রুপ দেওয়ার জন্য। এই প্রতিবেদনে তার অদম্য সাহসের ব্যাপক প্রসংসা করেছে। বাংলাদেশে পদ্মা সেতুর গল্প, সেতুর চেয়ে বিশাল? শীর্ষক নিবন্ধে প্রবন্ধে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়নে পদ্মা সেতুর মতো অবকাঠামো নির্মাণ করে বিশ্ববাসীর কাছে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন এবং আস্থা ও দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন।
পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক ডেইলি টাইমস এবং উইকলি ফ্রাইডে টাইমস বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেছে। পাকিস্তানের পাঞ্জাব, একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, গবেষক এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশ্লেষক ড. মালেকা-ই-আবিদা খট্টক তার নিবন্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের আস্থা, দূরদর্শিতা এবং সাহসী সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন। বাংলাদেশে পদ্মা সেতুর গল্প: সেতুর চেয়ে বড়? শিরোনামে তার নিবন্ধে। মালেকা আরও বলেন, শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর মতো অবকাঠামো নির্মাণ করে বিশ্ববাসীর কাছে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন এবং আত্মবিশ্বাস ও দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন। পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগ আনলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্ব্যর্থহীনভাবে বলেন, আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করব। কানাডার আদালতে পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। বাংলাদেশের মুষ্টিমেয় কিছু লোক দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে দুর্নীতির অভিযোগ ছড়ায়। কিন্তু শেখ হাসিনা দৃঢ়তার সাথে তা মোকাবেলা করেছেন এবং সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের স্বাক্ষর বহন করে। তার শাসনামলে বিশ্ব আবারো বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিশীল ভবিষ্যৎ জানার সুযোগ পেয়েছে। বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেটি বারবার বিশ্বকে তার সম্ভাবনা দেখিয়েছে।
ডাঃ মালেকা বলেন, বিশ্বব্যাপী মহামারী শুরু হলেও পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ পুরোদমে চলছে। শেখ হাসিনার অদম্য ইচ্ছাশক্তির কারণে একদিনের জন্যও সেতুর নির্মাণকাজ বন্ধ হয়নি। পাকিস্তানি মিডিয়া বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মডেলের প্রশংসা করে চমৎকার নিবন্ধ প্রকাশ করেছে। পাকিস্তানি মিডিয়া ব্যাপকভাবে বাংলাদেশ এবং এর অর্থনৈতিক সাফল্যের প্রশংসা করেছে। বিশ্বব্যাংক ও দাতা সংস্থাগুলো অর্থায়নে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় পদ্মা সেতুর নির্মাণ প্রায়ই অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। তখন সমালোচকরা অবমাননাকর মনোভাব প্রকাশ করেন। এই ষড়যন্ত্রকারীদের গুজব ছড়াতে থাকে পদ্মা সেতুতে মানুষ হত্যা করা হবে। সবকিছু মিথ্যে প্রমাণ করে সেতু নির্মাণ করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন হওয়ার কথা রয়েছে। একই দিনে বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় প্রজেক্টরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। অনুষ্ঠানটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ঢাকার এলিফ্যান্ট লেকে লেজার শোসহ সারাদেশে একই ধরনের কর্মসূচি থাকবে। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সকল পক্ষ ও আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদের পাশাপাশি বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক পত্রিকায় পদ্মাসেতু নিয়ে ব্যাপক প্রসংসা করেছেন। সেতুর প্রসংসায় লিখেছেন, বাংলাদেশের বহু প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু একটি স্বপ্নের প্রকল্প। আগামী ২৫ জুন সেতুটি উদ্বোধন হতে যাচ্ছে এবং সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সেতুটি উদ্বোধন করবেন। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার যাত্রীরা বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে ফেরি করে পদ্মা নদী পার হয়। দীর্ঘ যানজটে ভোগান্তিতে পড়তে হয় যাত্রী ও চালকদের। এই সেতু চালু হওয়ার পরে জনগনের এই ভোগান্তি আর থাকবে না বলে সবাই বিশ্বাস করেন।