পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম তার নির্বাচনী এলাকার একটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
বাঘা উপজেলার পাকুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম মেরাজ গত ৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাজশাহীর রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
শাহরিয়ার আলম রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সংসদ সদস্য এবং এখন এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এদিকে মেরাজুল রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তিনি এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা রাহেনুল হকের পক্ষে কাজ করছেন। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মেরাজুলকে হুমকি দেওয়ার একটি ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
মেরাজুল ইসলাম নিজেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী রাহেনুল হকের কর্মচারী উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগে বলেন, গত ২ ডিসেম্বর চারঘাটে আওয়ামী লীগের এক বিশেষ বর্ধিত সভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাহরিয়ার আলম প্রকাশ্যে তাকে ‘কুলাঙ্গার’ বলে অপবাদ দেন। ১৭ তারিখের পর তাকে হত্যার হুমকিও দেয়। তিনি এই উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রচার করেন। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তিনি। শাহরিয়ার আলমের এমন বক্তব্য নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন।
জানতে চাইলে মেরাজুল ইসলাম বলেন, একজন প্রতিমন্ত্রী প্রকাশ্যে এভাবে হুমকি দিলে আমি নিরাপত্তাহীন থাকব- এটাই স্বাভাবিক। তারপরও আমরা দল বেঁধেছি। আমরা নিজেদের মতো করে আমাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছি। আমরা থামিনি।
এ বিষয়ে আলোচনা করতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমকে করা করা হয়। তবে তিনি ফোন ধরেননি।
তবে মেরাজুল ইসলামের অভিযোগের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যের ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গেছে। এতে প্রতিমন্ত্রীকে বলতে দেখা যায়-‘১৯৯৬ থেকে ২০০১, আমাদের অনেকের চরিত্র হনন করা হয়েছে। নেতারা বিভ্রান্ত করেছেন বলেই কর্মীদের চরিত্র হনন হয়েছে। কারণ কর্মীরা তো সবকিছু বোঝেন না, জানেন না, জ্ঞান নেই। কর্মীরা ২০২৩ সালে এসেও অনেক কিছু জানেন না বলে ওই মেরাজের মতো একটা কুলাঙ্গার একটা অপব্যাখা দিয়ে সুস্থ শরীরে চলে যেতে পারে। আমি বেশি কথা বলতে চাই না। আমি কি বললাম? ১৭ তারিখ পর্যন্ত কন্ট্রোল। ১৭ তারিখ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ। ১৭ এর পরে যাত্রা হবে নিয়ন্ত্রণহীন।’
এই বক্তব্যকেই হুমকি হিসেবে দেখছেন মেরাজুল।
জানতে চাইলে রাজশাহীর রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, কোথাও আচরণবিধি লঙ্ঘন হোক এটা আমরা চাইব না। অভিযোগ আমি দেখব। বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে।