কয়েকদিন আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন চট্টগ্রামে একটি সমাবেশে নির্বাচন প্রসঙ্গে ভারতকে নিয়ে একটি মন্তব্য করায় ব্যাপকভাবে সমালোচনার মুখে পড়েন। এ বিষয়টি নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মধ্যেও চলছে জোর আলোচনা। দলটির যারা তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মী রয়েছেন, তারা বলছেন, এ ঘটনায় বিভিন্নভাবে মানুষের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন সফর থেকে বাদ পড়েছেন বলে মনে করছেন উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর রাজশাহীর আওয়ামী লীগের নেতা আসাদুজ্জামান আসাদ।
তাই এ পরিস্থিতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং মোমেনের অবস্থান দুর্বল হবে বলে মনে করেন তিনি।
আসাদ উল্লেখ করেন, তিনি যেমন মনে করেন, তেমনি তাদের দলের মধ্যেও এমন আলোচনা চলছে। তিনি বলেন, “বিষয়টা নিয়ে অনেকে নানা রকম কথা বলছে এবং অনেক ডালপালা গজাচ্ছে।”
বগুড়া, রাজশাহী ও চট্টগ্রামের কয়েকজন নেতাকর্মীর সঙ্গে কথা বলেছি। তারাও রাজশাহীর আওয়ামী লীগ নেতার মতোই ভাবছেন বলে মনে হচ্ছে। তারা মনে করেন, অসুস্থতার কথা বলা হলেও বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সফরে যেতে পারেননি। এই যুক্তি মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য।
আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী ফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সিনিয়র মন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আগের মন্তব্যের কারণে অনেক প্রশ্ন উঠছে। এর ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন,”পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্প্রতি কিছু কথাবার্তা বলেছিলেন এবং তা নিয়ে অনেক বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়েছে। ভারত সরকারও ভালভাবে নেয়নি বলে শুনেছি।
ড. রাজ্জাক মন্তব্য করেন, “দলীয়ভাবেও এটা নিয়ে সমালোচনা করা হয়েছে। এটা বাস্তব ও সত্য।”
তবে একই সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অসুস্থতার কথাও শুনেছেন বলে জানান তিনি। “আসলে অসুস্থ হলে তিনি যেতে নাও পারেন।”
তবে পরিস্থিতি বর্তমানে যা দাঁড়িয়েছে সেদিক থেকে জনাব মোমেন কি পূর্ব অবস্থার মতোই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ন দায়িত্ব পালন করে এগিয়ে যেতে পারবেন। নাকি বর্তমান পরিস্থিতি তার সেই কার্যক্রম চালানোর বিষয়ে তাকে দুর্বল করবে। এই সকল বিষয় মোমেনের নিজের দল আওয়ামী লীগের মধ্যেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।