দীর্ঘ দিন ক্ষমতায় থেকে দেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান গুলো ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ বিএনপির। নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখতে এমন জঘন্য কাজে লিপ্ত হয়েছে। রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলোকে দিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর নির্যাচন চালাচ্ছে। বিদেশে অর্থপাচার ও দুর্নীতি লু/টপাটের কারনে দেশ অর্থনৈতিক চাপের মুখে পড়েছে রিজার্ভ সংকটের মুখে পড়ে অথচ সরকার দায়িত্বে থাকা গুরুত্বপূর্ন মন্ত্রীরা অযুক্তিক ও ভুল তথ্য দিয়ে জনগনের সাথে প্রতারনা করছে।পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে যা বললেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন ‘দেশের মানুষ বেহেশতে আছে’ আমার ওনার সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন আছে।
তিনি বলেন, দেশে এমন কোনো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নেই যার দাম বাড়েনি। দেশের জনগণ কষ্টে আছে। এ রকম অবস্থায় জনগণের সাথে মশকরা করে যারা বলে দেশের মানুষ বেহেশতে আছে। তাদের সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তোলাই যায়।
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম দলের উদ্যোগে ১৩ আগস্ট শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তিনি এসব কথা বলেন।
দুদু বলেন, তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে এর প্রভাব সর্বস্তরে পড়েছে। এরই মধ্যে শিল্প-কারখানায় ব্যাপকভাবে ধস নেমেছে। উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এমন কোনো পণ্য নেই যার দাম বাড়েনি। এর আগের দাম বৃদ্ধি ও বর্তমান দাম বৃদ্ধি মিলে কোনো কোনো জিনিসের ২০০ গুণ দাম বেড়েছে।
তিনি বলেন, এ সরকার নির্বাচিত সরকার নয়। জনগণের ভোটের প্রয়োজন নেই, তারা জোর করে ক্ষমতায় এসেছে। এ কারণেই এই সরকার জবাবদিহির ঊর্ধ্বে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বোঝা যেত আওয়ামী লীগ দল কতটা অজনপ্রিয়, কিন্তু দেশে কোনো নির্বাচন হচ্ছে না। নির্বাচনী ব্যবস্থা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আর এতেই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সরকার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কথার নিন্দা জানিয়ে সাবেক ছাত্রদল সভাপতি বলেন, একজন মন্ত্রী বলেছেন দেশের মানুষ বেহেশতে আছে আমার ওনার সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। দাম বাড়েনি এমন কিছু নেই। দেশের মানুষ অনেক কষ্টে আছে। এ রকম অবস্থায় যারা বলে দেশের মানুষ বেহেশতে আছে। তাদের সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তোলাই যায়।
আওয়ামী লীগের একটা অংশ বেহেশতে আছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমার মনে হয় আওয়ামী লীগের একটা অংশ। সবাই না অর্ধেক বা ২০ ভাগ মানুষ যারা আওয়ামী লীগ করে দুর্নীতি, লু/টপাট করে খাচ্ছে তারা বেহেশতে আছে। বাকি আওয়ামী লীগ যারা খেটে খায় তারাসহ দেশের বাকি সকল জনগণ ভয়ঙ্কর কষ্টে আছে।
তিনি বলেন, এ থেকে মুক্তির একটাই পথ। সভ্য দেশ হলে নির্বাচনের মাধ্যমেই সেখান থেকে বেরিয়ে আসা যায়। কিন্তু এটা সভ্য দেশ নয়। নির্বাচনী ব্যবস্থা ভেঙ্গে গেছে, তাই এর থেকে বের হতে হলে রাজপথে নামতে হবে।
বিএনপি নেতা বলেন, আন্দোলন ছাড়া, ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে না নামলে জনগণ এই দুর্যোগ থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে না। সরকার যাই বলুক না কেন, সরকারের কোষাগার একদম তলানিতে।
যারা সরকারের গুণগান গেয়েছেন তারাও সরকারের বিরোধিতা করছেন উল্লেখ করে দুদু বলেন, যারা আগে সরকারের গুণগান গাইতেন তারাই এখন সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলছেন। জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন দল প্রতিনিয়ত সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলছে। এমনকি এই সরকারের মন্ত্রী ছিলেন রাশেদ খান মেননও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলছেন। এর জন্য আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে নামি।
সংগঠনের সভাপতি জনি সরকারের সভাপতিত্বে মৎস্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব আবদুর রহিম, যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম মিয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ উদ্দিন, দেশ বাঁচাও মানব বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে.এম. রকিবুল ইসলাম রিপন, জিনাফের সভাপতি মিয়া আনোয়ার, সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. তানিয়া আক্তার তামান্না, মাসিউজ্জামান সুজন হাসান, কামাল সরকার, লোকমান প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, সরকার গুরুত্বপূর্ন দায়িত্বে থাকা মন্ত্রীদের কথা বার্তায় তাদের সুস্থতার নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেন, দেশের মানুষ দেশের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য লাগামহীন বৃদ্ধিতে দিশেহারা সেখানে ভিন্ন কথা বলে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করা হচ্ছে।