সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেনের বক্তব্য নিয়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয় রাজনৈতি দলসহ বিভিন্ন মহলে। তার বক্তব্যের কারনে অস্বস্তিতে পড়ে দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। দলের ভিতরে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয় এবং অনেকে তার পদত্যাগের দাবি উঠে। কিন্তু পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন সে এমন ধরনের বক্তব্য দেননি তার বক্তব্যের বিকৃতি করা হয়েছে। তবে তাকে নিয়ে দলের শীর্ষ পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে কিন্তু দলের এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানা গেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন দিল্লি সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে সরকার দোটানায় রয়েছে। আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকার ব্যাপারে ভারতকে জড়িয়ে মন্তব্য করে দলের মধ্যে চরম সমালোচনার মুখে পড়েছেন আব্দুল মোমেন। নেতারা ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন। আব্দুল মোমেনকে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী করা সঠিক হবে কি না, তা বোঝার চেষ্টা করছেন সরকারের নীতিনির্ধারকরা।
চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে আপত্তিকর মন্তব্য করার পরদিনই সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে আবদুল মোমেনকে ভর্ৎসনা করা হয় বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের একাধিক নীতিনির্ধারক জানিয়েছেন। তারা দেশের একটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্য দেশের মানুষ, এমনকি ভারতের শাসক মহলও ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেনি। এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর এই গুরুত্বপূর্ণ সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেনকে সফরসঙ্গী হিসেবে নেওয়া ঠিক হবে না বলে মনে করছেন তারা।
পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী আগামী ৫ সেপ্টেম্বর দিল্লি সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অতীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়া বিদেশ সফরে যাওয়ার নজির রয়েছে। তাই সম্ভাব্য অস্বস্তিকর পরিস্থিতি এড়াতে আবদুল মোমেনকে দিল্লি সফরে না নিতে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়কে পরামর্শ দিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় দিল্লি সফরের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীদের সম্পূর্ণ তালিকা চূড়ান্ত করেনি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এই সফরে কুশিয়ারার পানি উত্তোলন নিয়ে সমঝোতা স্মারক হতে পারে।নিষ্পত্তি হতে পারে আরও কয়েকটি অমীমাংসিত বিষয়। ডিসেম্বর ২০২৩ বা জানুয়ারী ২০২৪ সালে বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তাই পরবর্তী নির্বাচনের আগে এটিই হবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর শেষ ভারত সফর। নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা, তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের বক্তব্যে কিছুটা বিব্রত দুই দেশের সরকারই।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন দিল্লি সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে সরকার দোটানায় রয়েছে। আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকার ব্যাপারে ভারতকে জড়িয়ে মন্তব্য করে দলের মধ্যে চরম সমালোচনার মুখে পড়েছেন আব্দুল মোমেন। নেতারা ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন। আব্দুল মোমেনকে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী করা সঠিক হবে কি না, তা বোঝার চেষ্টা করছেন সরকারের নীতিনির্ধারকরা।
চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে আপত্তিকর মন্তব্য করার পরের দিন সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে আব্দুল মোমেনকে ভর্ৎসনা করা হয় বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের একাধিক নীতিনির্ধারক। তারা যুগান্তরকে বলেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ওই মন্তব্য দেশের জনগণ, এমনকি ভারতের শাসক মহলও ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেনি। এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বপূর্ণ এই সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেনকে সঙ্গী হিসাবে নেওয়া ঠিক হবে না বলেই তারা মনে করছেন।
পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী আগামী ৫ সেপ্টেম্বর দিল্লি যাওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। অতীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ছাড়াই বিদেশ সফরে গেছেন-এমন দৃষ্টান্ত রয়েছে। তাই সম্ভাব্য অস্বস্তিকর পরিস্থিতি এড়াতে দিল্লি সফরে আব্দুল মোমেনকে না নেওয়ার জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পরামর্শ দিয়েছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় দিল্লি সফরে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীর পূর্ণাঙ্গ তালিকা চূড়ান্ত করেনি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর এই সফর রাজনৈতিক দিক দিয়ে বেশ গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। এই সফরে কুশিয়ারার পানি উত্তোলন নিয়ে সমঝোতা স্মারক হতে পারে। নিষ্পত্তি হতে পারে আরও কয়েকটি অমীমাংসিত বিষয়। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে অথবা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। তাই আগামী নির্বাচনের আগে এটাই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সর্বশেষ ভারত সফর বলে ধারণা করা হচ্ছে। নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দিক দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই ভারত সফরকে গুরুত্বের সঙ্গে বিশ্লেষকরা দেখলেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের বক্তব্যে দুই দেশের সরকারই কিছুটা বিব্রত।
সরকারের নীতিনির্ধারকরা আসন্ন দিল্লি সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন অন্তর্ভুক্ত থাকলে কোনো ধরনের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া হতে পারে-এর সম্ভাব্য ধারণা পাওয়ার চেষ্টা করছেন। ভারতের গণমাধ্যমের প্রশ্নবাণে জর্জরিত হতে পারেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী-এমন আশঙ্কা করছেন তারা।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সর্বশেষ গত বছর (মার্চ ২০২১) মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দিল্লি সফরের আমন্ত্রণ জানান। এর আগে, শেখ হাসিনা সর্বশেষ ২০১৯ সালের অক্টোবরে ভারত সফর করেছিলেন। এই সফরে, আগামী দিনে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্ককে আরও এগিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হবে।
শেখ হাসিনা ৫ সেপ্টেম্বর ভারত সফর করবেন এবং সেখানকার কূটনীতিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। বলা হচ্ছে, দুই নেতার যৌথ ঘোষণায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্কের ওপর আলোকপাত করা হবে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন যাতে কোনো ধরনের অস্বস্তির কারণ না হয় সে বিষয়ে সতর্ক সরকারের নীতিনির্ধারকরা।
প্রসঙ্গত, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে যা দুটি দেশের মধ্যকার বন্ধত্বপূর্ন সম্পর্কে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। সে কারনে তাকে নিয়ে দলের মধ্যে আলোচনা থামচ্ছে না বলে জানা যায়।