দক্ষিণ বাংলার ( South Bengal ) মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পদ্মা সেতু ( Padma Bridge )র বাস্তবায়ন। এই সেতু বাস্তবায়নের মাধ্যমে দক্ষিণ বাংলার ( South Bengal ) মানুষের কষ্ট লাঘব হলো। আগামী ২৫ শে ( ) জুন এই পদ্মা সেতু ( Padma Bridge ) উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শে ( )খ হাসিনা। বাংলাদেশে ( )র ( Bangladesh ) সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে এই পদ্মা সেতু ( Padma Bridge ) নির্মাণ হলো। কিন্তু বিএনপি ( BNP ) দাবি করছে পদ্মা সেতু ( Padma Bridge ) প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে ক্ষমতাসীন দল কোটি কোটি টাকা তাদের পকেটে ঢুকিয়েছে। এ বিষয়ে এবার মুখ খুললেন মোহাম্মদ ( Mohammed ) এ আরাফা.
পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয় নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ নেতাদের ওপেন চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ এ আরাফাত।
মঙ্গলবার (৩১ মে) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেস/ বুকে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তিনি এ চ্যালেঞ্জ জানান।
এর আগে গত ২৩ মে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, জনগণের পকেটের টাকায় পদ্মা সেতু হয়েছে। এই সেতুতে দুর্নীতির পরিমাণ অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।
সরকারের কাছে ফখরুল প্রশ্ন করেন, পদ্মা সেতুর অর্থের জন্য জনগণের কাছ থেকে কত টাকা কেটেছেন? কত টাকা আপনারা সেতুতে ব্যয় করেছেন, আর কত টাকা দুর্নীতি করেছেন?
এরপর গত ২৬ মে চট্টগ্রামে এক বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সরকারের কাছে প্রশ্ন করেন, পদ্মা সেতু নির্মাণের টাকাটা কার? ৪০ হাজার কোটি টাকা দিয়ে ১০ হাজার কোটি টাকার সেতু নির্মাণ করেছেন তিনি। বাকি ৩০ হাজার কোটি টাকা গেল কোথায়?
বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আজ মোহাম্মদ এ আরাফাত তার ফেস/’বুক অ্যাকাউন্টে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর একটি ছবি পোস্ট করেছেন। পদ্মা সেতু প্রকল্পে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকার বেশি খরচ হয়েছে কোথায় তা দেখার ওপেন চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি।
তিনি আরও লেখেন- (১) পদ্মা সেতু প্রকল্পে মূল সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১২,৪৯৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ, আপার ডেক এবং লোয়ার ডেক দুটো মিলেই যে মূল সেতু, সেই মূল সেতুর ব্যয় এটি।
বাকি টাকা নদী শাসনে ব্যয় হয়েছে- ৮৯৭২ কোটি টাকা, সংযোগ সড়ক ও পরিষেবা এলাকা নির্মাণ, ১৫০০ কোটি টাকা, জমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন ও পরিবেশ, ৪৩৪২ কোটি টাকা, পরামর্শক, সেনা নিরাপত্তা, ভ্যাট, আয়কর, যানবাহন, বেতন ও ভাতাদি এবং অন্যান্য খাতে ২৮৮৫ কোটি টাকা।
(২) প্রতিটি পয়সা বাংলাদেশ সরকার তার নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় করেছে।
(৩) কোন বিদেশী দেশ বা প্রতিষ্ঠান থেকে এক পয়সাও ধার করা হয়নি। সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় সেতু বিভাগকে টাকা দিয়েছে।
(4) সেতু বিভাগ টোল আদায়ের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করবে এবং আগামী ৩৬ বছরের মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ে ফেরত দেবে, যা অন্যান্য জনকল্যাণমূলক প্রকল্পে ব্যবহার করা হবে।
মোহাম্মদ এ আরাফাত ডান-বামে গু/’জব না ছড়িয়ে সৎ সাহস থাকলে চ্যালেঞ্জ নিতে বিএনপি নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, পদ্মা সেতু বাস্তবায়নে বিশ্বব্যাংকের নিকট অর্থায়নের জন্য চেষ্টা করা হলেও বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে সেই অর্থায়নের বিষয়টি নস্যাৎ করে দেয় একটি চক্র। প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় প্রতিজ্ঞার কারণে সেই পদ্মা সেতুর আজ বাস্তবায়িত হলো। যা নিয়ে সমগ্র দেশের মানুষ শেখ হাসিনার সরকারকে বাহবা জানাচ্ছে। অপেক্ষা করছে এই সেতু খুলে দেওয়ার জন্য।