নানা জাঁকজমক আয়োজনের মধ্যে দিয়ে আলোচিত পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নানা বাধাকে পিছনে ফেলে প্রধানমন্ত্রীর সাহসি ভূমিকায় নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়। উদ্বোধনের পরের দিন সেতু চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। পরে সেতু উঠে রেলিং এর নাট বল্টু খুলের জন্য গ্রেফতার করা হয় বায়েজিদকে।
পদ্মা সেতুর নাট খুলে টিকটক ও ভিডিও করা বায়েজিদ তালহাকে সাত দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছে শরীয়তপুরের আদালত।
বুধবার (৬ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক সামসুল আলম তার জামিন আবেদন নাকচ করে এ রায় দেন।
জানা গেছে, গত ২৬ জুন পদ্মা সেতুতে যান চলাচল শুরুর দিন রেলিংয়ের নাট খোলার ভিডিও টিকটকে ছড়িয়ে সন্ধ্যায় সিআইডির হাতে গ্রেপ্তার হন এক যুবক। পরে জানা যায়, বায়েজিদ তালহা নামে পরিচিত, তবে তার জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম মো. বাইজিদ। তার বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করে পুলিশ।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর জানান, গত ২৭ জুন বাইজীদকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়েছিল। শুনানি শেষে বিচারক তাকে ৭ দিনের রিমান্ডে পাঠান।
আসামিপক্ষের আইনজীবী শহিদুল ইসলাম বলেন, আজ বুধবার আদালতের আদেশে আমরা ক্ষুব্ধ। ন্যায়বিচারের স্বার্থে জজ আদালতে জামিনের আবেদন করব।
প্রসঙ্গত, রিমান্ড শেষে জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয় বায়েজিদকে। তবে এ বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রকাশ করে আসামী পক্ষের আইনজীবি।