পদ্মায় বেগম রোকেয়া নামক ফেরিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ ভোরের দিকে ফেরিটি নিদ্রিষ্ট স্থান থেকে তার গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময়ে মাঝিরকান্দি চ্যানেলে প্রবেশ করলে হঠাৎ করে আগুন লাগার এই ঘটনার সুত্রপাত ঘটে। এ সময় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্কিত পরিবেশের সৃষ্টি হয়, তবে কোন প্রকার হতাহতের ঘটনা শোনা যায়নি। তবে ফেরি কর্মকর্তারা তারা তাদের নিজস্ব দক্ষতায় সম্পুর্ন পরিবেশকে নিয়ন্ত্রন করেছে বলে জানা গেছে।
পদ্মার উপর দিয়ে চলাচলকারী বেগম রোকেয়া ফেরিটিতে আগুন লেগে কেবিনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শনিবার (১১ জুন) ভোর ৫টা ১৫ মিনিটে মাঝিরকান্দি চ্যানেলে প্রবেশ করলে আগুনের সূত্রপাত হয়। এর আগে ভোর ৫টা ১৫ মিনিটে ফেরিটি মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট থেকে শরীয়তপুরের মাঝিরকান্দির উদ্দেশে ছেড়ে যায়। জানা গেছে, মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা ফেরি মাঝিরকান্দি চ্যানেলে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে লেলিহান শিখাকে দেখা যায়। ফেরি পাম্প ব্যবহার করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এ সময় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ফেরির চালক দ্রুত গতিতে শরীয়তপুরের মাঝিরকান্দি ঘাটে গিয়ে সকল গাড়ি খালাস করে। ফেরি মাস্টার মিন্টু রঞ্জন দাস জানান, ক্যান্টিনের পাশের কেবিনের উপরের সিটে আগুন লাগে।
এতে বিছানা, ছাদের দরজা ও কেবিনের বাইরের সিলিং ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘটনার সময় কেবিনে কেউ ছিল না। দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে আগুন বেরিয়ে আসে। শিমুলিয়া ঘাটে বিআইডব্লিউটিসির উপ-মহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানান, একটি চলন্ত ফেরির তালাবদ্ধ কেবিন থেকে আগুন ও ধোঁয়া বের হতে থাকে। পরে ফেরিতে থাকা পাম্প ও অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের সাহায্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ফেরিটি মাঝিরকান্দি ঘাটে গিয়ে খালাস করে। যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে শিমুলিয়া ঘাটে আসার প্রস্তুতিও চলছে। তিনি আরও জানান, ফেরিতে ৩৫-৪০ জন যাত্রী এবং বেশ কিছু যাত্রী ছিল। সবাই নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছেছে। ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। আগুন লাগার কারণ জানার চেষ্টা চলছে বলেও জানান বিআইডব্লিউটিসি কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, আজ ভোরের দিকে শিমুলিয়া থেকে পাটুরিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে বেগম রোকেয়া ফেরিয়াটি যাত্রার মাঝ পথে হঠাৎ করেই আগুন লেগে যায়। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে আগুনটি ফেরির ক্যান্টিন থেকে সুত্রপাত ঘটেছে। তবে এই বিষয়ে অন্য কোন কারন আছে কিনা অথবা যথাযত কি কারনে এমন ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত্য কমিটির মাধ্যমে খতিয়ে দেখা হবে। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে ফেরির কর্মকর্তাদের সময় উপযোগী সিদ্ধান্তের কারনে কোন রকমের হতাহতের ঘটনা ছাড়াই নিরাপদে সম্পুর্ন ব্যাপারটি নিয়ন্ত্রন করতে সক্ষম হয়েছেন এমনটা জানা গেছে সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিদের বর্ননা মতে।