সম্প্রতি আলোচিত পদ্মা বহুমুখী উদ্বোধনের মাধ্যমে দেশের মানুষের স্বপ্ন পূরন করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর সাহসি উদ্যোগে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়। সেতুর মাধ্যমে ব্যবসায়-বাণিজ্যের নতুন এক দিগন্তের উন্মোচন হবে বলে সকলে মন্তব্য করেন। আর ওই সময়ে একই সাথে তিন শিশুর জন্ম নেওয়ায় পদ্মা সেতুকে স্মরণীয় রাখতে তাদের নাম স্বপ্ন, পদ্মা ও সেতু রাখেন তার পিতা-মাতা। কিন্তু হঠাৎ করে পদ্মা নামের শিশুটি অসুস্থ হয়ে মারা যায়। পরবর্তিতে পদ্মা মারা যাওয়ার একদিন যেতে না যেতে সেতুর মৃ/ত্য হয়েছে।
দিনাজপুরের বিরামপুরে একসঙ্গে জন্ম নেওয়া স্বপ্ন, পদ্মা ও সেতু নামের তিন কন্যা শিশুর মধ্যে পদ্মার মৃ/ত্যুর একদিনের মাথায় মারা গেছে সেতু। তবে সুস্থ আছে স্বপ্ন নামের অপর শিশুটি। এদিকে পরপর দু’দিনে দুই মেয়েকে হারিয়ে বাবা ও মায়ের পাগলপ্রায় অবস্থা।
রোববার (২৪ জুলাই) রাতে উপজেলার বিনাইল ইউনিয়নের কৃষ্টবাটি গ্রামের নিজ বাড়িতে সেতুর মৃ/ত্যু হয়। এর আগে শনিবার (২৩ জুলাই) বিকেলে পদ্মার মৃ/ত্যু হয়।
স্বজনরা জানান, গত ১৮ জুলাই দুপুরে বিরামপুরের ইমার উদ্দিন কমিউনিটি হাসপাতালে স্বাভাবিকভাবে তিন কন্যা সন্তানের জন্ম দেন সাদিনা বেগম। পদ্মসেতু স্মরণে তিন সন্তানের নাম রাখা হয়েছিল স্বপ্না, পদ্মা ও সেতু। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে একদিন পর বাড়ি ফিরেছে শিশুরা।
শিশুদের বাবা জাহিদুল ইসলাম জানান, শনিবার বিকেলে পদ্মা নামের মেয়েটি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসকের কাছে নেওয়ার আগেই তার মৃ/ত্যু হয়। পদ্মা মা/রা যাওয়ার পর বাড়িতে সেতু আর স্বপ্ন ভালোই ছিল। কিন্তু হঠাৎ আজ রাতে আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন সেতু। চিকিৎসকের কাছে নেওয়ার আগেই রাত সাড়ে ৯টার দিকে তারও মৃ/ত্যু হয়। তবে স্বপ্ন নামের অপর মেয়েটি ভালো আছে বলে জানান তিনি।
বিরামপুর উপজেলা আবাসিক কর্মকর্তা (ইউএনও) পরিমল কুমার সরকার বলেন, তিন শিশুর মধ্যে গতকাল পদ্মার মৃ/ত্যুর খবর জেনেছি। তাই শিশুটির বাবাকে চিকিৎসার জন্য অন্য দুই সন্তান সেতু ও স্বপ্নকে হাসপাতালে আনার পরামর্শ দেওয়া হয়। সেতুর মৃ/ত্যুর কথা কিছুক্ষণ আগে শুনেছিলাম।
প্রসঙ্গত, পদ্মা মা/রার যাওয়ার এক দিনের মাথায় সেতুর অনাকাঙ্খিত মৃ/ত্যুতে শোকহত হয়েছে তাদের পরিবার বলে জানা যায়। মৃ/ত্যুর বিষয়টি নিয়ে অনেকে শোকহত।