চলমান বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গা থেকে পাওয়া যাচ্ছে ব্যাপক সহিংসতার খবর। তবে বেশিরভাগ সময় দেখা যায় দু’পক্ষের সমর্থকদের ভিতর ঝামেলা বাধতে। কিন্তু এমন কি শুনেছেন সরাসরি বিরোধী প্রার্থী কে মারধর তাও কিনা ডোবার মাঝে ফেলে দেওয়ার মতো ঘটনা? হ্যাঁ সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে নোয়াখালীতে।
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে এক স্বতন্ত্র প্রার্থীকে মারধর করে ডোবায় ফেলার অভিযোগ উঠেছে নৌকা প্রার্থীর অনুসারীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর ৩-৪ জন অনুসারীও আহত হয়।
বুধবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে ভোট চলাকালীন সময়ে উপজেলার ৯নং দেওটি ইউনিয়নের দেওটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
হামলার শিকার স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম দিদার হোসেন। তিনি উপজেলার ৯নং দেওটি ইউনিয়নে সাবেক বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান। বর্তমানে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ভুক্তভোগী স্বতন্ত্র প্রার্থী অভিযোগ করে তিনি বলেন দুপুরের দিকে দেওটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে যান। কেন্দ্র থেকে বাহির হওয়ার কিছুক্ষণ পর নৌকার সমর্থক কিং মোজাম্মেলের লোকজন তার ওপর হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। এ সময় তারা তাকে বেধড়ক মারধর করে একটি ডোবায় ফেলে দেয়। তিনি আরো অভিযোগ করেন এ ছাড়াও কয়েকটি ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করতে নৌকার সমর্থকরা তাকে বাধা দেয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ৯নং দেওটি ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নুরুল আমিন শাকিল অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, দিদার মাটিতে পড়ে গায়ে কাদা মেখে নাটক করেছে। উল্টো দিদারের সমর্থকদের হামলায় আমার ২০-২২ জন অনুসারী আহত হয়। আমার কোনো সমর্থক তার ওপর হামলা চালায়নি।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশীদ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এমন অভিযোগ পায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে বিয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
যদিও সুস্পষ্ট কোনো খবর এখনও পাওয়া যায়নি। উভয় দলই একই রকম অভিযোগ করছে, এ বলে হামলা আমার উপর হয়েছে ও বলে হামলা আমার উপর হয়েছে। পুলিশে কোনো অভিযোগ না করায় প্রশাসনের পক্ষ থেকেও কোনো পদক্ষেপ এখনো দেওয়া হয়নি। হয়তো আসল ঘটনা জানা যেত যদি প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো তদন্ত করা হত।