কুমিল্লা জেলার হোমনা উপজেলাধীন মাথাভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়া নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান সময়ের চেয়ারম্যান হিসেবে থাকা নাজিরুল হক ভূঁইয়া ভোটের ফলাফল বাতিল করার মাধ্যমে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। স্থানীয় এমপি সেলিমা আহমেদ মেরী ও নাজমা আশরাফী যিনি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তারা পরিকল্পিতভাবে চিহ্নিত রাজকারপরিবারের পক্ষে কাজ করে নৌকাকে পরাজিত করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ ব্যাপারে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলামের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। আজ (বুধবার) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।
এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, উপজেলা মুক্তিযো’দ্ধা সংসদের সাবেক কমা’ণ্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কাশেম প্রধান, আব্দুল খালেক, সেলিম সরকার, আমজাদ মাষ্টার, আব্দুল মালেক, দিদারুল আলম, মানিক খন্দকার, আলী আহমেদ, শিপন সরকার প্রমূখ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নজিরুল হক ভূইয়া বলেন, নির্বাচনী তফশিল ঘোষণার পর থেকেই কুখ্যাত করিম রাজাকারের নাতি ও উপজেলা বিএনপির সভাপতির ভাগ্নে, ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষ নেন সংসদ সদস্য সেলিমা আহমেদ মেরি। নৌকা মার্কার প্রার্থী হলেও এমপি তাকে কোন সহযোগিতা করেননি। বরং এমপির নির্দেশে গত ২৮ নভেম্বর নির্বাচনের দিন বেলা দেড়টা থেকে ৫টা পর্যন্ত আমাকে আ’টকে রাখা হয়।
এরপর দলীয় নেতা-কর্মীদের ভ’য়ভী’তি প্রদর্শন করে ও জোরপূর্বক সিল মেরে নৌকাকে পরাজিত করা হয়। সরকার ও আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে গভীর ষ’ড়য’ন্ত্রের অংশ হিসেবে এ ঘটনা ঘটনানো হয়েছে দাবি করা হয়।
গনমাধ্যমের সম্মেলনে যারা বক্তৃতা দেন তারা বলেন, সরকার বিরোধী একটি গোষ্ঠী তাদের ব্লুপ্রিন্ট এর মাধ্যমে নৌকাকে বসানোর পরিকল্পনা করেছিলেন এবং তাই করেছেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুব লীগ ও ছাত্রলীগের যারা নেতা-কর্মী রয়েছেন তাদের মধ্যে এই বিষয়টি নিয়ে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। তাই অবিলম্বে এই সকল ব্যক্তিদের আইনের
আওতায় আনার দাবিও জানিয়েছেন তারা। ফের এই ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠানের যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহন করে বাস্তবায়ন করার কথা জানান তারা।