বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হলেন জনেনত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। তিনি পর পর ৩ বার ক্ষমতায় এসেছেন মানুষের ভালোবাসা নিয়ে। প্রধানমন্ত্রীও দেশের মানুষকে অনেক ভালোবাসেন আর তাই একের পর এক দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। সম্প্রতি তিনি তার এক বক্তব্যে দলের নেতাকর্মীদের সার্বিকভাবে জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেবার নির্দেশ দিয়েছেন।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্যাপক প্রস্তুতি নিতে দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি তৃণমূল পর্যায়ে নেতৃত্ব নির্বাচনে অভিজ্ঞ এবং পদত্যাগকারীদের মূল্যায়নের উপর জোর দেন। তবে এ বিষয়ে যথাযথ তদন্তের আহ্বান জানান তিনি।
রোববার (১৪ আগস্ট) দলের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠকে শেখ হাসিনা এমন নির্দেশনা দিয়েছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সাংগঠনিক সম্পাদক জানান, দলের সভানেত্রী সংগঠনের অবস্থা, কয়টি শাখা সম্মেলন হয়েছে, কত বাকি আছে জানতে চান। বৈঠকে তিনি মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সভা দ্রুত শেষ করার নির্দেশনা দেন। সম্মেলনের জন্য শাখাগুলোর পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে বলেন তিনি। এ ছাড়া নির্বাচনকে ঘিরে দলকে সুসংগঠিত করতে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন তিনি।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা জানান, তৃণমূলের কমিটি গঠনের সময় আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মূল্যায়ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি সতর্ক করে দিয়ে বলা হয়েছে, তথাকথিত স্মার্ট ব্যক্তিদের নিয়োগ ও পদ দেওয়া যাবে না। দলীয় প্রধান বলেন, কাউকে পদ দেওয়ার আগে জানতে হবে তার শেকড় কোথায়, কোথা থেকে এসেছেন। তিনি বলেন, শিকড় উপড়ে ফেলা যায় না।
সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড থেকে সরে আসা তৃণমূলের অবসরপ্রাপ্ত ও সিনিয়র নেতাদের সক্রিয় হয়ে দলের কর্মকাণ্ড মূল্যায়ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। শেখ হাসিনা নেতাদের বলেন, ত্যাগী ও প্রবীণ নেতাদের ক্ষোভ ছেড়ে দিতে হবে। মনে রাখতে হবে তারা আওয়ামী লীগ।
তৃণমূলকে নির্বাচনমুখী ও প্রাণবন্ত করতে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। তিনি সাংগঠনিক সচিবদের বলেন, এই সভার তারিখ চূড়ান্ত না হলেও সেপ্টেম্বর থেকে সুবিধাজনক সময়ে বিভাগীয়ভাবে অনুষ্ঠিত হতে পারে।
এছাড়া পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা উপজেলা ও ইউনিয়ন নেতাদেরও ডাকা হতে পারে বলে বৈঠকে ইঙ্গিত দেন শেখ হাসিনা।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা জানান, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনকে সামনে রেখে বিদ্রোহীদের ব্যাপারে অনড় অবস্থান থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তারা বলেন, বিগত নির্বাচনে যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন তাদের বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও যাচাই-বাছাই করতে বলেছেন। তবে জাতীয় নির্বাচনের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে চলতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতাদের উদ্দেশে বলেন, জনপ্রতিনিধি ও তৃণমূল নেতাদের বিষয়ে খোঁজ নিতে নিয়মিত জরিপ করা হচ্ছে। সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী সংসদ সদস্যদের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে বলেছেন। না হলে ভবিষ্যতে তাদের ক্ষতি হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
ডাক বাণিজ্যের অভিযোগ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই-বাছাই করতে আওয়ামী লীগ সভাপতি সাংগঠনিক সম্পাদকদের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। তিনি কর্মকর্তাদের দ্রুত এই প্রতিবেদন তৈরি করে তার কাছে জমা দিতে বলেছেন বলে জানা গেছে। এ সময় শেখ হাসিনা নেতাদের বলেন, পদ বিক্রি করা যাবে না।
সভায় পুরোদমে সাংগঠনিক সফর শুরু করতে নেতাদের নির্দেশ দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। এসব সফরে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করার কথাও বলেন তিনি। প্রচার, প্রচারণা ও বক্তৃতায় গুজব ও ভুল তথ্যের জবাব দিয়ে উন্নয়নের প্রচারে জোর দিতে বলেন।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিআনর উন্নয়ন এখন দেখছে সম্পূর্ণ বিশ্ব। পদ্মা সেতু নির্মাণ করে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। শত বাঁধা বিপত্তি উপেক্ষা করে তিনি পদ্মা সেতু নির্মাণ করে বীরত্ব ও অসীম সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন।