দেশের নতুন রাজনৈতিক দল গণ-অধিকার পরিষদের ঘোষণা দেয়ার পর ডাকসুর সাবেক সহ-সভাপতি নুরুল হক নুর রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ সরব হয়েছেন। তিনি সরকারের সমালোচনা করে বিভিন্ন নেতিবাচক মন্তব্য করেন। এর আগে বেফাঁস মন্তব্য করে মামলার সন্মুখিন হয়েছেন তিনি। মাঝে মাঝে মাঝে তিনি বেশ ঝাঁঝালো বক্তব্য দিয়ে সরকারের কঠোর সমালোচনা করতে শোনা গেছে। এবার নুরুল হক নূরকে নির্দেশ দিল আদালত।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সভাপতির দায়ের করা মামলায় সাবেক ভিপি নুরুল হক নূরকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গত বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ১১ আগস্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আরেফিন আহমেদ হ্যাপি এ আদেশ দেন।
আদালতের ভাষ্যমতে, ২০২০ সালের ১৬ ডিসেম্বর নুরুল হক নূর ফে”সবুক লাইভে আসেন। সেখানে তিনি সরকার ও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করে মানুষকে উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এছাড়া নুরুল হক নুর নির্বাচন কমিশনকে ‘বেহুদা কমিশন’ এবং আওয়ামী লীগকে ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শবিরোধী’ ও ছাত্রলীগ নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। এ সময় নূর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেলের নাম উল্লেখ করে অশালীন মন্তব্য করেন। এরপর একই বছরের ২০ ডিসেম্বর নুরুল হক নূরের বিরুদ্ধে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল বাদী হয়ে মামলা করেন। এ সময় আদালত মামলাটি তদন্ত করে পুলিশকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাবুল বলেন, “তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। প্রতিবেদন দাখিলের পর বৃহস্পতিবার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানি হয়। এরপর বিচারক নুরুল হক নূরকে নির্দেশ দেন। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে আদালতে হাজির হতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আদালতে হাজির না হলে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হবে।” সেই দিক থেকে তিনি পড়তে পারেন বিপাকে।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে আ.লীগকে ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য বিএনপির সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে। বর্তমান সময়ে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি এবং দ্রব্যমূল্য স্ফীতির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বেশ জোরালো বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, এই সরকারের অধীনে থাকলে সাধারণমানুষ এক সময় না খেয়ে থাকতে হবে, দেশ ধ্বংসের দিকে ধাবিত হবে।