মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। একই সঙ্গে সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্য অর্জনে সংলাপ জরুরি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মিলার এ কথা বলেন।
গত ২৮ অক্টোবর শান্তিপূর্ণ সমাবেশের ঘোষণা দিয়ে বিএনপি তা/ণ্ডব চালালে দেশজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুরনো কায়দায় আ/গুন, স/ন্ত্রাস ও সং/ঘর্ষ জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দেশের পাশাপাশি বিদেশেও এ ধরনের স/হিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে উঠে আসে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি।
পুলিশ হ/ত্যা, যাত্রীবাহী বাস পো/ড়ানোসহ বিভিন্ন অপকর্মের মাধ্যমে যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ঘোষিত ভিসা নীতি প্রয়োগ করা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার উপযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভিসা নীতির আবেদন পুনর্ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন। .
মিলার বলেন, আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি, তবে ভিসা নীতির আবেদনের বিষয়ে আমরা কোনো ঘোষণা দিই না। আমরা বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের অঙ্গীকারকে সমর্থন করি। আমরা বিশ্বাস করি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে।
ব্রিফিংয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের লক্ষ্য অর্জনে সংলাপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বাংলাদেশের নির্বাচনী পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা সরকার, বিরোধী দল এবং সংশ্লিষ্ট সব দলের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। আশা করছি, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে একসঙ্গে কাজ করবেন। যাতে বাংলাদেশের মানুষ নির্ভয়ে ভোট দিতে পারে।
এমনকি এদিনও ম্যাথিউ মিলার বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক সহকারী প্রেস সচিব মুশফিক ফজল আনসারীর বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে বানোয়াট অভিযোগ উত্থাপনের প্রতি কর্ণপাত করেননি।