আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন এখন জনগণের সম্পদ। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার কোনো অপচেষ্টা সফল হবে না। বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে নির্বাচন উপলক্ষে দলের ঢাকা জেলা কার্যালয়ে গঠিত সব উপ-কমিটির সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যদের জন্য নির্বাচনের উত্তেজনা মাথায় রেখে পরিকল্পনা করা খুবই কঠিন। যাদের মনোনয়নপত্র টেনশনমুক্ত, তাদের কাজের বেশি দিতে হবে। একটি বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা প্রয়োজন। ভাঙচুর ঠেকাতে হবে, অপপ্রচার রুখতে হবে। নির্বাচনী আসর জমে উঠেছে। কে আসে না আসে অনেকেই ভাবছিলেন। কিন্তু ফুল ফুটতে শুরু করেছে। আরো ফুল ফুটবে। ইসিতে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগ পর্যন্ত ফুটবে শত শত ফুল। এটা নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই। ইশতেহার চূড়ান্ত।
তিনি বলেন, নাশকতা বিএনপির অ/স্ত্র। যা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ ও জালিয়াতি করে তুলবে। তবে ভন্ডুল করা সম্ভব হবে না। নির্বাচন এখন জনগণের সম্পদ। প্রতিহত ও প্রশ্নবিদ্ধ করার কোনো প্রচেষ্টা সফল হবে না।
তিনি আরও বলেন, বিদেশিদের নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। যারা আমাদের নিয়ে ব্যস্ত তারা প্যালেস্টাইন-ইসরায়েল, রাশিয়া-ইউক্রেন, লেবানন, মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, তেলের দাম নিয়ে ব্যস্ত। পৃথিবীতে পরবর্তী বি/শ্বযুদ্ধ হবে পানিকে কেন্দ্র করে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, কারা নিষেধাজ্ঞা ও ভিসা নীতি দিয়েছে তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন নই। জনগণের শক্তি আমাদের সঙ্গে আছে। তফসিল ঘোষণার পর তা আরও স্পষ্ট হয়েছে। নির্বাচনে বড় কোনো দল নেই, তবুও শহর-গ্রামে উৎসবের আমেজ। আমার বিশ্বাস আমরা জিতব। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আরেকটি বিজয় আমাদের সামনে।
ওবায়দুল কাদের উপ-কমিটি যথাসময়ে কাজ শেষ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, অপপ্রচার ও না/শকতা রোধ করুন। দিন প্রায় শেষ, ফুরিয়ে আসছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান কাজী জাফর উল্লাহ বলেছেন, নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে নেত্রীর নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে হবে। আগুন, নাশকতা মোকাবেলা করতে পারলে জয় নিশ্চিত। সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠক চলবে তিন দিন।