নতুন করে আবারো বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর এ নিয়ে তিনি টানা ১০ম বারের মত সভাপতির পেয়েছেন দলটির। গতকাল আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনে বিশ্বব্যাপী চলমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা সব সময় যুদ্ধের বিপক্ষে এবং শান্তির পক্ষে। যুদ্ধের ভয়াবহ পরিণতি আমরা জানি। আমরা এর শিকার। আমরা যুদ্ধ চাই না, নিষেধাজ্ঞা চাই না, আমরা শান্তি চাই।
শনিবার রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এর আগে সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশস্থলে পৌঁছান শেখ হাসিনা। এ সময় স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো সমাবেশস্থল। শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। প্রথমে শেখ হাসিনা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। একই সঙ্গে দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। একই সঙ্গে জাতীয় সঙ্গীত ও দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।
সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের আমলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা, মোবাইল ফোন সেবা, ইন্টারনেট সেবাসহ দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে বলেন, আমরা বিনামূল্যে টিকা দিয়েছি। বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা। স্বাস্থ্যসেবা দিতে ২২ হাজার চিকিৎসক, ৪০ হাজার নার্স নিয়োগ করেছি। দেশের মানুষকে নগদ সেবা দিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১ জানুয়ারি থেকে শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই দেব। শুধু বই নয়, আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৈরি করছি। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ইন্টারনেট, কম্পিউটার ল্যাব ডিজিটাল সেবার উন্নয়ন করা হয়েছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধ চাই না, নিষেধাজ্ঞা চাই না। আমরা একাত্তরে যুদ্ধের ভয়াবহতা দেখেছি। যুদ্ধে মা, বোন, শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার কারণে উন্নয়নমূলক অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হয়। আমরা সংক্রমণ থেকে উঠে এসেছি। এর মধ্যেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়।
প্রসঙ্গত, বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী আরো অনেক কিছু বলেন। তিনি বলেন, ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্ব নেতৃত্বের প্রতি আহ্বান জানাব। তাদের উস্কানি দেওয়া বন্ধ করুন। আমরা শান্তি চাই। আমরা সবেমাত্র কোভিডের প্রভাব থেকে উঠে এসেছি। এখন এই মঞ্জুরি সব অগ্রগতি নষ্ট করছে।