সম্প্রতি নানা অপ্রীতিকর কাজের সাথে জড়িয়ে পড়ায় আলোচনায় আসছে ছাত্রলীগের নেতারা। তাদের এমন কান্ডে নেতিবাচক ধারনা তৈরী হচ্ছে সমাজের মানুষের মধ্যে। প্রশ্নের মুখোমুখি হচ্ছে দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। নানা বিতর্কের মুখে পড়ছে ছাত্রলীগের এসব ধারাবাহিক অবরাধমূলক কর্মকান্ড। নতুন করে আবার বরগুনার বেতাগী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির মাদক সেবন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার নতুন বিকর্ত তৈরী হয়েছে।
বরগুনার বেতাগী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বিএম আদনান খালিদ মিথুনের মা/দক সেবনের একটি ভিডিও সামজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে তোলপাড়।
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, ছাত্রলীগ সভাপতি মিঠুন একটি কক্ষে বসে ইয়াবা সেবন করছেন। তার পাশে বসে তাকে ইয়াবা সেবনে সহযোগিতা করছে আরেক ব্যক্তি। তবে ভিডিওতে মুখ দেখা না যাওয়ায় ওই ব্যক্তিকে শনাক্ত করা যায়নি।
সোমবার (১৯ আগস্ট) রাত থেকে ১৫ সেকেন্ডের ইয়াবা সেবনের ভিডিও ফেসবুক মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপে ভাইরাল হয়। এতে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেতাগী উপজেলা ছাত্রলীগের একাধিক নেতাকর্মী জানান, বেতাগী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিঠুন শুধু মা/দকাসক্তই নয়, সে মা/দক ব্যবসার সাথে জড়িত। ছাত্রলীগ সভাপতির প্রভাবে দীর্ঘদিন ধরে এসব কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছেন তিনি।
জানা যায়, বেতাগী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিঠুন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি প্রয়াত আলতাফ হোসেন বিশ্বাসের ছেলে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠিত হলে মিঠুনের বাবা আওয়ামী লীগে যোগ দেন এবং পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। তখন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে মিঠুনের উত্থান শুরু হয়। অবশেষে ২০১৭ সালে বেতাগী উপজেলা ছাত্রলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হন মিঠুন। ই কমিটি মেয়াদ অতিক্রম করে ৫ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করছে।
এ বিষয়ে বেতাগী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আদনান খালিদ মিথুন বলেন, এটা আমরা শীতের সময়ে কয়েকজন মিলে ফান করছিলাম, তখনকার ভিডিও। এরমধ্যে থেকে ‘সামহাউ’ কেউ এটা অন্যভাবে করছে।
বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল কবির রেজা বলেন, ভিডিওটির কথা শুনেছি। ভিডিওটি দেখার পর আমরা তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।
প্রসঙ্গত, ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ উঠেছে কিন্তু দল থেকে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে বলে বিভিন্ন মহলের দাবি। এ ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হলেও বেশির ভাগই নেওয়া হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে।