প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থা কমেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় জাতি সংকট থেকে বেরিয়ে এসেছে। কিন্তু এটা স্থায়ী সমাধান নয়। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা অনেক কমে গেছে। রাজনৈতিক নেতৃত্বকেও নির্বাচন ঘিরে পথ খুঁজতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ‘সরকারের সহযোগিতা ছাড়া এত বড় অভিযান সফল করা সম্ভব নয়। অপবাদ ও বদনাম দুটোই নিতে হবে।
তার মতে, জাতি উদ্বেগ ও সংকট থেকে বেরিয়ে এসেছে। কিন্তু এটা স্থায়ী সমাধান নয়। রাজনীতিবিদদের আস্থা না থাকলে নির্বাচন কমিশনের গ্রহণযোগ্যতা থাকে না। প্রতি পাঁচ বছর পর পর নির্বাচনের কারণে সংকট দেখা দিলে দেশের উন্নয়নও বাধাগ্রস্ত হবে। রাজনৈতিক নেতৃত্বকেও নির্বাচন মোকাবিলার পথ খুঁজতে হবে।
নির্বাচন ব্যবস্থায় সংস্কার আনা সম্ভব হলে আগামীতে নির্বাচন আরও গ্রহণযোগ্য হবে বলে মনে করেন তিনি।
মেয়াদ শেষ হলেও পরবর্তী কমিশনকে বিতর্কমুক্ত রাখতে এ ধরনের ব্যবস্থার সংকট নিরসনের আহ্বান জানান তিনি।
নির্বাচন খুব একটা অংশগ্রহণমূলক হয়নি বলে মন্তব্য করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। একটি বড় দল শুধু বয়কট করেনি, প্রতিরোধ করতে চেয়েছিল। নির্বাচনের মাধ্যমে জাতি স্বস্তি পেয়েছে, আমরা স্বস্তি পেয়েছি।
নির্বাচন কমিশনার মোঃ আহসান হাবিব খান বলেন, ইমান নিয়ে কাজ করে সফল হয়েছি। যে স্ট্যান্ডার্ডে পৌঁছেছি তার থেকে নিচে যেতে পারি না। আমরা দেখাব কিভাবে এই কমিশন কাজ করে, যা ভবিষ্যতের জন্য অনুকরণীয় হবে।
নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘আমরা একটি ভালো নির্বাচন করতে চেয়েছিলাম। না হলে হয়তো আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিতাম। আমাদের সরকার সমর্থন দিয়েছে। তা না হলে একভাবে কাজ করা সম্ভব হতো না। আশা করি সম্মানের সঙ্গে চলে যেতে পারব।’
নির্বাচন কমিশনার মোঃ আলমগীর বলেন, “যে সব দল অংশ নিয়েছে এবং সরকার, সবাই আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করেছে। আনসার থেকে সবাই সাহায্য করেছে। সরকার একটি বড় শক্তি, তাদের সমর্থন না পেলে আমি সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারতাম না। সব দল অংশ নিলে আরও গ্রহণযোগ্য হতো।
নির্বাচন কমিশনার মোঃ আনিছুর রহমান বলেন, আমরা দৃঢ় ছিলাম যে, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে না পারলে আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত নেব।
ভোট গণনার হার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শেষ ব্রিফিং যদি সাড়ে তিনটায় করা হতো তাহলে তথ্য নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হতো না।
ইসি সচিব জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে কমিশন সচিবালয়ের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।