আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলো সাথে আলোচনা করছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনার মাধ্যমে পদক্ষেপ নিতে চায় কমিশন। তবে নির্বাচন কমিশনের কোনো সংলাপে অংশগ্রহন করেনি বিরোধী দল বিএনপি। বিএনপির দাবি নির্বাচনে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন করা কোন কমিশনের পক্ষে সম্ভব নয়। নির্বাচনে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি পরস্পর সমঝোতায় নির্বাচন ব্যবস্থা পরিবর্তনে কোন বাধা নেই বলে যা বললেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নিজেরা সমঝোতা করে বর্তমান পদ্ধতির বদলে নতুন কোনো ব্যবস্থায় নির্বাচন করতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আপত্তি থাকবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
সোমবার সকালে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপের দ্বিতীয় দিনে ইসলামিক ফ্রন্টের সঙ্গে আলোচনায় সিইসি এ কথা বলেন।
সিইসি আরও বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতার অনুকূল পরিবেশ তৈরি করাই বর্তমান কমিশনের মূল লক্ষ্য।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘বিএনপি যেটা দাবি করছে, সেটি তাদের আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে, সংগ্রামের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তবে, সেটি সংবিধানে প্রতিফলন হতে হবে। তা না হলে সংবিধানের সঙ্গে মিল থাকবে না।
সিইসি আরও বলেন, রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে একটা দ্বিধা-দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচন যাই হোক না কেন। আমার-আপনার ইচ্ছামতো হোক, তা নয়—গ্রহণযোগ্যভাবে একটা নির্বাচন হোক। আমরা চাই সুন্দর সংসদ গঠিত হোক, সরকার গঠন হোক।
এ ছাড়া সংলাপে ইসলামিক ফ্রন্টের নেতারা বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। তারা কমিশনকে শতভাগ নিরপেক্ষ হওয়ার আহ্বান জানান।
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের আনুষ্ঠানিক ধারাবাহিক সংলাপ শুরু হয়েছে গতকাল রোববার।
নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চলমান সংলাপ শেষ হবে ৩১ জুলাই
প্রসঙ্গত, আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির দুটি দলের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে নির্বাচন ব্যবস্থায় পরিবর্তন করা যেতে পারে এতে কোন বাধা দিবে না নির্বাচন কমিশন বলে জানান সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ক্ষেত্রে এটি ভূমিকা রাখবে।