আগামী নির্বাচন সামনে রেখে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। তার ধারাবাহিকতায় রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজ সাথে আলোচনা করেছে নির্বাচন কমিশন।তাদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয় সামনে এসেছে এবং সেগুলো নিয়েও কাজ করছেন তারা বলেন জানিয়েছে। সম্প্রতি গাইবান্ধা উপনির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে কারচুপি ও বিশৃঙ্খলার চিত্র দেখায় ভোট বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেই (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। নির্বাচন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনো ধরনের চা/পের মধ্যে নেই মন্তব্য করে যে কথা জানালেন (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আমরা কোনো চাপ অনুভব করছি না। আমরা আমাদের কাজ করছি।
রোববার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে জেলা পরিষদ নির্বাচন মনিটরিং সেল পরিদর্শন শেষে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নির্বাচন ভবনের মনিটরিং সেল থেকে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে মাঠপর্যায়ে ভোট পর্যবেক্ষণ করছে ইসি। গত ১২ অক্টোবর এখান থেকে ভোটগ্রহণে অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়, প্রথমে ৫১টি কেন্দ্র এবং পরে পুরো নির্বাচন বন্ধ করে দেয় ইসি। এরপর ক্ষমতাসীনদের সমালোচনার মুখে পড়তে হয় ইসিকে।
কোনো চাপ আছে কিনা জানতে চাইলে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমরা কোনো চাপ অনুভব করছি না। আমরা আমাদের কাজ করছি।
সিইসি বলেন, সিসি টিভির প্র/চলনটা সাম্প্রতিক। এর মাধ্যমে আমরা এখান থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে পারি। এটি একটি ভালো দিক।
তিনি বলেন, আমাদের কোনো পক্ষ নেই। আমরা চাই ভোটাররা যেন তাদের ভোট দিতে পারে। সে জন্য আমরা সিসি টিভি ব্যবহার করছি।
নির্বাচন কমিশনার মো: আলমগীর বলেন, তাহলে ৪০ বা ৪২ হাজার ভোটকেন্দ্রের মধ্যে চার লাখ ভোট কেন্দ্র থাকবে। আমাদের টেকনিক্যাল টিম বলেছে সেখানে সিসিটিভি ব্যবহার করা যাবে। তবে তখন শুধু আমাদের পাঁচজন নির্বাচন কমিশনার নয়, মনিটরিংয়ের জন্য আরও জনবল নিয়োগ করা হবে। নিয়োজিত থাকবেন ইসির কর্মকর্তারা।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, গাইবান্ধার নির্বাচনের মতোই ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে।
প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশন তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে অনিয়ম দেখায় ভোট বন্ধ করে দিয়েছে মন্তব্য করেন (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, বিষয়টি কোনো ধরনের সমস্যা বোধ করছে না।