দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর পরপর চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় রাশিয়া, চীন ও ভারতসহ এশিয়ার অনেক দেশ শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, বাংলাদেশে নির্বাচন ‘অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি’। এবং যুক্তরাজ্য বলেছে যে বাংলাদেশে “নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ মান অনুযায়ী পরিচালিত হয়নি”। দুই দেশ পৃথক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছে।
পরে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব বড় রাজনৈতিক দল অংশ না নেওয়ায় হতাশা প্রকাশ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এবার নির্বাচন নিয়ে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে কানাডা।
অন্যদিকে, বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেও অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবিতে বিদেশি বন্ধু দেশগুলো বিভিন্ন সময়ে তাদের অবস্থান ব্যক্ত করেছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (০৯ জানুয়ারি) কানাডা সরকারের গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডা বিভাগ এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছে। এছাড়া উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডাও নির্বাচনের আগে ও পরে স/হিংসতার নিন্দা জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কানাডা বাংলাদেশি নাগরিকদের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রশংসা করে এবং সমর্থন করে এবং নির্বাচনের আগে এবং চলাকালীন যে ভয়ভীতি ও স/হিংসতা হয়েছিল তার নিন্দা জানায়। আমরা স/হিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত সকলের প্রতি আমাদের সমবেদনা জানাই।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, কানাডা তার হতাশা প্রকাশ করে যে এই নির্বাচনী প্রক্রিয়া গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার নীতি থেকে বিচ্যুত হয়েছে যার ভিত্তিতে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং গণতন্ত্র, মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা এবং মৌলিক অধিকারের প্রতি অগ্রসর হতে সকল পক্ষের সাথে স্বচ্ছভাবে কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানায়। স্বাধীনতা যা বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। একটি শক্তিশালী ও সুস্থ গণতন্ত্র এবং সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য একটি কার্যকর বিরোধী দল, স্বাধীন গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা গুরুত্বপূর্ণ।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেওয়া প্রথম দেশগুলোর মধ্যে কানাডা ছিল উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, কানাডা আরো স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষায় সমর্থন দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।