দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি হিসেবে সব মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, অধিদপ্তর, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সংস্থার প্রধানদের নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচনের সময় গণনার শুরু থেকে তফসিল ঘোষণার আগে ও পরে, নির্বাচনের দিন ও ভোটগ্রহণ শেষ হওয়া পর্যন্ত যা যা করণীয় তা যেন ঠিকঠাক হয় এবং কাজ নিয়ে যেন সমস্যা না হয় সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয় সভায়।
বুধবার (১ নভেম্বর) সকালে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে অন্তত ৪০ জন প্রতিনিধি অংশ নেন। এসময় চার নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আড়াই ঘণ্টা বৈঠক শেষে ইসি সচিব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে সব এজেন্ডা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের বার্তা হলো, সুষ্ঠু, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে। যাতে নির্বাচনের সময় কোথাও কোনো সমস্যা না হয়। তারা সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে।
সচিব বলেন, সংবিধানে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে নির্বাচন করতে ইসি বদ্ধপরিকর। এ অনুষ্ঠানকে সুষ্ঠু ও সুন্দর করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও বিভাগের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করা হচ্ছে। এরই মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধান ও গোয়েন্দা বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। বুধবার বেসামরিক প্রশাসনের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, সচিব, মহাপরিচালক, বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক হয়।
তিনি বলেন, জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র, অর্থ, তথ্য, শিক্ষা, সড়ক পরিবহন, নৌ পরিবহন, প্রাথমিক শিক্ষা, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাসহ সব দফতরকে কী করতে হবে তা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাতে নির্বাচনের সময় কোথাও কোনো সমস্যা না হয়। কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা, ভ্রমণ, গণমাধ্যম, প্রচার, বৈদেশিক বিষয়, পর্যবেক্ষক, বিদেশি পর্যবেক্ষক, ঋণ খেলাপি নিয়ে আলোচনা হয়।
জনপ্রশাসন, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবসহ ৩৯টি বিভাগ, সংস্থার প্রতিনিধিরা সভায় বক্তব্য রাখেন। নতুন নিয়মের আলোকে কী করতে হবে এবং কী করতে হবে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগকে অবহিত করা। নির্বাচনের ব্যাপারে যা কিছু করা হবে ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী তা বাস্তবায়ন করা হবে। নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয় সেজন্য ইসি তাদের কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বলে জানান ইসি সচিব।
৪ নভেম্বর কমিশনে ৪৪টি নিবন্ধিত দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এ প্রসঙ্গে ইসি সচিব জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নির্বাচন কমিশন কোনো সংলাপের আয়োজন করেনি। ইসিতে নিবন্ধিত দলগুলোর সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক বা দুজন মনোনীত প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে ইসি তাদের কার্যক্রমের প্রতিবেদন দেবে এবং তাদের পরামর্শ শুনবে।
বিএনপির হরতাল-অবরোধের পরিস্থিতিতে দলের প্রতিনিধি কীভাবে আসবে জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, ‘নো কমেন্টস’।