আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভিন্ন এক পরিস্থিতি তৈরী হতে দেখা যাচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলো তাদের শক্তির জানান দিতে বিভিন্ন মিটিং মিছিল শুরু করেছে। তবে দেশের বড় দুটি রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ ও বিএনপি নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থার সমাধান রাজ পথে বেছে নিয়েছে। যার ফলে রাজনীতিতে একটি সংঘাতময় পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে। তবে বিদেশী রাষ্ট্রদূতরা বিষয়টি পর্যেবেক্ষন করে বিভিন্ন মন্তব্য করছেন।বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিয়ে মাথাব্যথা কেন মন্তব্য করে যা বল/লেন আওয়ালীগ সাধারন সম্পাদক ওবায়দুর কাদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিয়ে চিন্তা না করে বিদেশি দূতাবাসগুলোকে নিজ দেশের অবস্থা দেখার আহ্বান জানিয়েছেন।
সোমবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে পূজা মণ্ডপ পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় আমরাও সেভাবে নির্বাচন করব। বিভিন্ন দূতাবাসের অভিযোগ করেন, আমি তাদের বলতে চাই- গণতন্ত্রের গল্প শো/নান, বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিয়ে আপনাদের এত মাথা/ব্যাথা কেন? আগে নিজের দেশের অবস্থা দেখুন। তারপর বাংলাদেশের কথা বলেন। এসব না করে রাশিয়া-ইউক্রেন যু/দ্ধ বন্ধ করুন। বিশ্ব তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণ করুন। অশান্ত পৃথিবীকে শান্ত করুন। আপনারা বড় বড় দেশগুলো দোষ করবেন, আমাদের মতো ছোট দেশগুলোকে তার সাফার করতে হবে।
বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, গলিত লা/শ তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর ফিরে আসবে না! বিএনপি আন্দোলনের রূপ/রেখা তৈরী করছে, তারা যাই করুক না কেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরে আসবে না!
ঢাকেশ্বরী মন্দিরে পূজা মণ্ডপে দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের বিশৃঙ্খলা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। দুর্গাপুজোর সময় লালবাগে কেন গ্রুপ পলিটিক্স প্রশ্ন ক/রেন তিনি?
ওবায়দুল কাদের ঢাকেশ্বরীতে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে গেলে লালবাগ আওয়ামী লীগের দুই-তিনটি গ্রুপ মিছিল-শোডাউনে সক্রিয় হয়ে ওঠে। এ সময় মাইকে বারবার মিছিল ও স্লোগান থামিয়ে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য বজায় রাখতে অনুরোধ করা হয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, এটা কি পূজা, ভুলে গেছেন? এটা ঢাকেশ্বরীর ঐতিহ্যবাহী পূজামন্ডপ, এখানে আমি কারো কাছ থেকে লাল গোলাপের শুভেচ্ছা নিতে আসিনি। এই দুর্গাপূজায়ও কেন লালবাগে গ্রুপ পলি/টিক্স তা জানতে চাই। আমি এখানে আপনাদের শোডাউন দেখতে আসিনি। সব জায়গায় শোডা/উন দিতে হবে? আমি দেখেছি আমি ঢুকতে পার/ছিলাম না। এই শোডাউনগুলো যদি না ঠিক করা হয় তাহলে কি আগামী নির্বাচনে এমন লোকদের মনোনয়ন দেবো? শোডাউনের লোককে এটি দিবো না। কি করব নেত্রীকে জানাবো এখানে কি কি হচ্ছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এখানে হিন্দুরা পূজা দিতে আসছে, মা-বোনেরা আসছে, তাদের সামনে কি মল্লযু/দ্ধ দেখাচ্ছেন? কার ক/ত শক্তি দেখাচ্ছেন? আমি এ/গুলো দেখতে চাই না।সবার এসিআর জমা আছে। শোডাউন দেখিয়ে সুবিধা নেবেন ভাবার কোন কারণ নেই। তারা স্লোগান দিচ্ছে, সবাই শোডাউন করছে, এক বছর পর নির্বাচনী নেতা/দের দেখায়।
ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরসহ পূজা উদযাপন কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, আগামী নির্বাচন সংবিধান মেনেই করা হবে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, গনতন্ত্র বিষয়ে কারর উদ্বেগ প্রকাশ করার আগে নিজেদের দিকে তাকান উচিত।