এবার নির্বাচন নিয়ে চ্যালেন্জ জানালেন ওবায়দুল কাদের

বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে প্রধান দুইদল আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি সর্বদা একে অন্যের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ তুলে থাকেন। বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সুদুরপ্রসারী নেতৃত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশকে উন্নয়নের রাস্তায় নিয়ে গেছে। এদিকে রাজনীতিতে আ.লীগের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে সমালোচনা করে থাকে বিএনপি। এবার দলটির নেতাদের বিভিন্ন বক্তব্যের সমালোচনা করলেন ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ যাতে ঠিক মতো ঘুমাতে পারে সেজন্য শেখ হাসিনা এখন সারারাত জেগে থাকেন। তিনি এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি সামাল দিয়ে যাচ্ছেন। এ পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়া রোগ, বন্যা কেটেছে; এই যুদ্ধের প্রভাবও তিনি সামলাচ্ছেন। শক্ত করে তিনি হাল ধরেছেন। তাকে শক্তি দিতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করে শক্তি দিতে হবে।

শনিবার বিকেলে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকের এই দিনটি যখন আমাদের সামনে আসে তখন চোখের সামনে ভেসে ওঠে ওয়ান-ইলেভেন নামের অমাবস্যার অন্ধকার। বাংলাদেশে ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ রাজনীতিতে হঠাৎ করে বিরাজনীতিকরণের একটা ঝড় এলো। এই দিনটি শুধু শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস নয়, এই দিনটি বাংলাদেশের গণতন্ত্রের কারাবন্দি দিবস। এই দিনে শেখ হাসিনাকে কারারুদ্ধ করা হয় এবং আমাদের উন্নয়নশীল গণতন্ত্রকে কা’রারু”দ্ধ করা হয়।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হ/”ত্যার ৬ বছর পর অবরুদ্ধ গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে পিতার র”ক্তে ভেজা দেশে আসেন তার কন্যা শেখ হাসিনা। তার প্রথম কাজ ছিল গণতন্ত্রকে মুক্ত করার জন্য মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সকল শক্তি, গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করা। শেখ হাসিনা প্রতিজ্ঞা নিয়ে এসেছেন, পিছপা হননি। ভয়কে জয় করতে এসেছেন, ভয় করেননি। প্রতি বিল্পবী শক্তির ভ্রুকুটির সামনে মাথানত করেননি।

বিএনপির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি বলছে আমাদের পতনের সাইরেন বাজছে; আপনারা কোথা থেকে শুনেছেন? রাস্তায় গাড়ি চলার সময় কি আপনি সাইরেন শুনেছেন? শুনবেন, শুনতে পাবেন আপনাদের বিদায়ের ঘণ্টা যখন বাজবে। নেতিবাচক রাজনীতি আপনাদেরকে অপ্রাসঙ্গিক করে তুলেছে। আওয়ামী লীগের বিদায় নয়, দূরে বাজছে আপনাদের বিদায় ঘণ্টা। এটা খেলা হবে, এটা রাজনীতি ও নির্বাচনের মাঠে খেলা হবে। খেলায় নামেন।

দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, চলার পথে শত্রু ও বন্ধুকে চিনতে হবে। প্রবাদ আছে- একবার বিশ্বাসঘাতক, সর্বদা বিশ্বাসঘাতক। আওয়ামী লীগের কর্মীদের সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।

তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনার সরকারের কর্মক্ষমতা দেশের রাজনৈতিক দলগুলো দেখেছে। কিন্তু তারপরও তারা অস্বীকার করে। উন্নয়নের সমালোচনা তাদের একটা বদ অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটা কোনোভাবেই তাদের কাছ থেকে কাম্য নয়।