দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন আসন্ন
সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সব ধরনের প্রচেষ্টা চালাবে বলে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তবে বিরোধী দল বিএনপির পক্ষ থেকে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন কোনো ভাবে সম্ভব নয়। নির্বাচন কমিশনের কোনো ক্ষমতা নেই বলে যে মন্তব্য করে যা বললেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কোনো ক্ষমতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, আমরা ২০১৮ সালের নির্বাচনে গিয়েছিলাম, আশা করে প্রধানমন্ত্রী যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, হয়তো চেষ্টা করবেন। কিন্তু তারা তা করেনি। এ বিষয়ে অভিজ্ঞতা, নির্বাচন কমিশনের কথা আমরা আবার শুনব কীভাবে আশা করেন। তাদের সঙ্গে গিয়ে বসি। কী করবে তারা? তাদের কিছুই করার নেই। তাদের কোনো ক্ষমতা নেই। আর দেশের মানুষ চায় না, এই নির্বাচনের কমিশন এবং সরকারের অধিনে কোনো নির্বাচন হোক। এই কারণে নির্বাচনের কমিশনের কোনো সংলাপ ও আলোচনার বিষয়ে আমরা কোনো মন্তব্যই করি না।’
এ সময় বর্তমান সরকার যদি পরিবর্তন না হয় এবং নিরপেক্ষ সরকার যদি না আসে তাহলে এদেশে কোনো নির্বাচন হবে না বলেও মন্তব্য করেন ফখরুল।
গত দুই নির্বাচনের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারে আওয়ামী লীগ থাকলে নির্বাচন কমিশন যাই দেন না কেন- ইসি কখনোই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পারবে না।
নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধান সংকট হলো গণতন্ত্র নেই। আর আওয়ামী লীগ আজ নির্বাচন ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে। কারণ, চিরকাল ক্ষমতায় থাকতে তারা দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে চায়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘রাজনৈতিক কালচার যে, একটি রাজনৈতিক দল আরেকটি রাজনৈতিক দলকে বিশ্বাস করতে পারে না। আর দলীয় সরকারের অধিনে নির্বাচনে হতে পারবে না। এটা গত কয়েক বছরে আওয়ামী লীগ প্রমাণ করেছে। আপনারা জানেন যে, স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে তারা জোর করে কেড়ে নিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, “আগের নির্বাচন কমিশনের আহ্বানে আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়েছিলাম। আমরা তাকে নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য একটি বই আকারে একটি প্রস্তাব দিয়েছিলাম। আমরা আশা করেছিলাম, সেই প্রস্তাব রাষ্ট্রপতি এবং সরকার নেবেন। কিন্তু সরকার কিছুই নেয়নি!দেখুন এবারও বারবার বলার পরও একইভাবে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, নির্বাচনকালীন সরকারই মূল প্রশ্ন। তারা ওই সরকারে থাকলে এবং শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হলে নির্বাচন কোনোভাবেই সুষ্ঠু হবে না। সুতরাং আওয়ামী লীগ যদি সরকারের থাকে এবং শেখ হাসিনা যদি প্রধানমন্ত্রী থাকেন তাহলে নির্বাচনে গেলেই কী, না গেলেই কী?’
প্রসঙ্গত, নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া কোন ভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় কারন নির্বাচন কমিশনের কোন ক্ষমতায় নেই বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি আরও বলেন, সরকার ক্ষমতা দীর্ঘ স্থায়ী করতে নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে।