বগুড়ায় উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর হিরো আলম ভোট নিয়ে কারচুপির কথা পরোক্ষভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি ভোট গননায় প্রথম দিকে এগিয়ে থাকলেও শেষ দিকে তিনি পরাজিত হয়েছিলেন। তবে ইসি থেকে বলা হয়েছে ভোট সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর সেটার গননাতে কোনো ধরনের অনিয়ম পাওয়া যায়নি। এবার এই বিষয়ে সরাসরি চ্যালঁঞ্জ জানিয়েছেন হিরো আলম। নির্বাচনের দিন রাতেই ভোট গণনায় অনিয়মের অভিযোগ এনে বগুড়া-৪ আসনের উপনির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। একই সঙ্গে উচ্চ আদালতে যাওয়ার ঘোষণা দেন। এ প্রসঙ্গে আবারো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও বার্তা দিয়েছেন হিরো আলম।
গণভোটের দাবিতে নতুন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেন, মশাল মার্কার এত জনপ্রিয়তা, তাহলে আপনারা গণভোট দেন। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলেছি জীবনে আর নির্বাচনে দাঁড়াব না। নির্বাচনের নাম মুখেও আনব না শুধু আপনারা প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা দিয়ে গণভোট দিয়ে দেখেন। তাহলে দেখবেন কে জনপ্রিয়। দেশবাসীর সামনে গণভোট চাই।
তিনি বলেন, আপনারা সবাই দেখেছেন রাশেদা সুলতানা (নির্বাচন কমিশনার) গতকাল বৃহস্পতিবার আমাকে নিয়ে অনেক কথা বলেছেন। তিনি বলেন- শুধু হিরো আলম নয়, প্রত্যেক প্রার্থীই পরাজয়ের পর বলেছেন, ভোট সুষ্ঠু হয়নি, কারচুপি হয়েছে। তিনি আরও বলেন- নন্দীগ্রামে হিরো আলমের কোনো এজেন্ট ছিল না। আমার কথা নাকি সব ভিত্তিহীন।
তখন হিরো আলম তাকে চ্যালেঞ্জ করে বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি আপনারা হিরো আলমের একতারা আর তানসেনের মশালের মাঝে গণভোট দেন তো দেখি। জনগণ ভোট দিয়েছে নাকি দেয়নি, ফলাফল কারচুপি হয়েছে নাকি হয়নি সেটাও আমি দেখাব। প্রতিটি কেন্দ্রেই সিসি ক্যামেরা দেবেন। তারপর দেখেন হিরো আলম আর মশাল মার্কার মাঝে কে জেতে।’
উল্লেখ্য, হিরো আলম এর আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনের সময় নির্বাচন বর্জন করেছিলেন। তবে এবারের উপনির্বাচনে তিনি ফলাফল বর্জন করেছেন। এবার তিনি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে গনভোট দেওয়ার কথা বললেন। তবে সেটা তিনি জানালেও সেটা বাস্তবিক দিক থেকে করা হবে কিনা সেটা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।