আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ ও সকল দলের অংশগ্রহন নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলচ্ছে দেশ ও দেশের বাহিরে। তবে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির ভিন্ন অবস্থান নিয়ে দল দুটি সংঘাতের জড়ানোতে ভিন্ন চিত্র তৈরী হয়েছে রাজনীতিতে। যদিও বিএনপি দীর্ঘ দিন ধরে নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে আন্দোলন করেছে। কিন্তু সংবিধানের বাহিরে নির্বাচন নয় বলে আওয়ামীলীগ পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। আগামী নির্বাচনে স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারবে জনগণ বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী যা বললেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন স্বচ্ছ হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যুক্তরাষ্ট্রে গতকাল জাতিসংঘের ৭৭তম অধিবেশন-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনের প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, আগামী নির্বাচনে জনগণ স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারবে। তবে এবার ভোট চুরি করতে পারবে না বলেই বিএনপি নির্বাচনে আসতে ভয় পাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
দেশের সার্বিক উন্নয়নের কথা মনে করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আগে গ্রামের মানুষ খাবার চাইতো, এখন ব্যায়ামের জন্য জিম চাই। প্রতিটি উপজেলায় শিশুদের জন্য মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হচ্ছে।
এর আগে জাতিসংঘের ৭৭তম অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির পাঁচটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বাংলাদেশ সবার জন্য সমান সুযোগ, সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ সমাজ এবং টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলায় দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী রাশিয়া-ইউক্রেন সং/ঘর্ষ, জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক সংকটের কথা বলেন। গত ১০ বছরেও রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন তিনি।
অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবকে মানবজাতির জন্য সবচেয়ে বড় হু/মকি উল্লেখ করে সংকট মোকাবিলায় বিশ্বনেতাদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি ইসরায়েল-অধিকৃত ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি তার পূর্ণ সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। মনে করিয়ে দেন যু/দ্ধের ক্ষতিকর প্রভাবের কথা। দ্রুত রাশিয়া-ইউক্রেন যু/দ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সঠিক সময়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে না পারলে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনে ব্যর্থ হবেন নেতারা।
এদিকে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে শেখ হাসিনা বলেন, কার্বন নিঃসরণের জন্য দায়ী দেশগুলো জোরালো বক্তব্য রাখলেও পরিস্থিতির গুরুত্বের সঙ্গে তাদের কার্যক্রম সংগতিপূর্ণ নয়। তারা শুধু কথা বলে, কিন্তু কাজ করে না। অথচ তারাই এ বিপর্যয়ের জন্য দায়ী।
প্রসঙ্গত, আগামী নির্বাচনে দেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশ গণতান্তিক প্রক্রিয়ায় অব্যাহত রয়েছে এবং এ প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যেতে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ আবশ্যক