বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে কাজ করে যাচ্ছে র্যাব। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি অর্থ্যাৎ জ/ঙ্গি দমন, মা/দক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্য রেখেছে র্যাব বলে জানান র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী র্যাবকে দায়িত্বে পালনে অনেক চ্যালেঞ্জর মুখোমুখি হতে হয়। নির্বাচনে ইসির নির্দেশনায় চলবে পুলিশ মন্তব্য করে যা বললেন সদ্য পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) দায়িত্ব পাওয়া র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশনা মেনে চলবে বলে জানিয়েছেন সদ্য পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) দায়িত্ব পাওয়া র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন।
তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় পুলিশ নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকে। এ বিষয়ে বাহিনীর দীর্ঘদিনের যে অনুশীলন তা মেনে চলবে। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করবে।
জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে পুলিশের ভূমিকা এবং ক্ষমতাসীন দলের হয়ে কাজ করার অভিযোগ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় নতুন আইজিপি এসব কথা বলেন।
নিষেধাজ্ঞার কারণে র্যাব ব/ন্দুকযু/দ্ধ বা ক্র/সফায়ার কমিয়ে দিয়েছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে সদ্য বিদায়ী র্যাব মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন- ‘তোমরা এদেশের পুলিশ, এদেশেরই নাগরিক’। আমাদের দেশের মানুষের বিরুদ্ধে কেন আমরা দাঁড়াবো। যখন আমরা আক্রান্ত হই, মা/দক, অস্ত্র/ উদ্ধার, মানবপাচারকারী যখন আমাদের ওপর আক্রমণ করে তখন আমরা প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। আইনে যে ক্ষমতা র্যাবকে দেওয়া হয়েছে তা আমরা অতিক্রম করি না।
আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, দুই বছরের বেশি সময় ধরে র্যাবের ডিজি হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর আইজিপি হিসেবে যোগদানের আগে বলেন, যেখানে প্রয়োজন হয় সেখানেই শক্তি প্রয়োগ করি। যেখানে প্রয়োজন নেই সেখানে করি না।একটা লোক দৌড় দিলো, ধাক্কা দিলো আর গু/লি করে দিতে হবে? সিচুয়েশন যে ডিমান্ড করে সে অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। আমাদের দেশে প্রচলিত আইন অনুযায়ীই ব্যবস্থা নিয়ে থাকি।
মা/দকের বিরুদ্ধে যু/দ্ধ শুরু করেছে র্যাব। কিন্তু মা/দক বাড়ছে এবং মাদকাসক্তিও বাড়ছে। তাহলে মা/দকের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান ব্যর্থ কি না?
এমন প্রশ্নে নতুন আইজিপি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমরা যে যুদ্ধ করছি সেটা বৈশ্বিক যুদ্ধ, এ যুদ্ধ শুধু আমরা না, বিশ্বজুড়েই চলছে। আমাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাজের কারণে কারাগারে যে আসামি তার বেশিরভাগই মাদকের। প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণের পর যেখানেই মাদক সেখানেই সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। শুধু র্যাব নয়, সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীই তাদের ধরছে। মাদকের বিষয়ে সবার ঘর থেকেই সচেতনতা দরকার। সন্তান কোথায় যাচ্ছে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে অভিভাবকদের।
তিনি বলেন, চাহিদা ও যোগান একে অপরের সাথে জড়িত। আমরা এর উপর কাজ করছি. মা/দক নিয়ন্ত্রণে নেই, তা বলার উপায় নেই। যেখানে খবর পাওয়া যাচ্ছে সেখানে অভিযান চালানো হচ্ছে। আমরা যদি মা/দকের বিরুদ্ধে ব্যর্থ হতাম তাহলে এত মা/দক আসামি কারাগারে থাকত না। আমরা বিশ্বাস করি আমরা সবাই যদি কথা বলি তাহলে আমরা খুব শীঘ্রই একটি মা/দক মুক্ত সমাজ দেখতে পাব।
র্যাবের সদ্য বিদায়ী এই ডিজি জানান, তার সময়কালে ৩৬ হাজার মাদক কারবারিকে গ্রেফতার, ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা মূল্যের মাদকদ্রব্য উদ্ধার এবং ৭৭ হাজার বোতল মাদকের চালান জব্দ করা হয়েছে।
মতবিনিময় সভায় র্যাবের মিডিয়া অ্যান্ড লিগ্যাল উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈনসহ র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, নির্বাচনে পুলিশের ভূমিকা বিগত দিনের মতো নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে এবং পুলিশ তার দায়্ত্বি আইন অনুযায়ী করবে বলে মন্তব্য করেন সদ্য দায়্ত্বি প্রাপ্ত পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন।