সরকার আবারও ক্ষমতায় আসতে ভিন্ন কৌশল নিয়ে সামনের দিকে আগাচ্ছে। তার প্রমাণ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর বিরোধীতার স্বত্বেও ইভিএমের পদ্ধতিতে ভোট করার সিদ্ধান্ত। এ পদ্ধতির মাধ্যমে তারা পূর্বের মত কারচুপি করে ক্ষমতায় আসার নীল নকশা তৈরী করছে। আগামী নির্বাচন যদি সরকার কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে তাহলে দেশের গনতন্ত্র আর ফিরবে না বলে মন্তব্য করেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব।
আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহারে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত ১২তম সংসদীয় নির্বাচনকে প্রচণ্ডে ঝুঁকির মুখে ফেলবে। অবাধ স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের সম্ভাবনাকে সুদূর পরাহত করবে।
এটা গণতন্ত্র, নির্বাচন ও ভোটাধিকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলনের নীল পরিকল্পনার অংশ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আ স ম আবদুর রব এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণভাবে জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে। বাংলাদেশে এমন একজনও ভোটার নেই যিনি ইভিএমে ভোট দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। ইভিএম বাংলাদেশের নির্বাচনী সংস্কৃতি এবং প্রযুক্তি ব্যবহারের উপযোগিতা প্রশ্নে সাংঘর্ষিক। ভোটাররা ইভিএম ব্যবহারে যেমন স্বাচ্ছন্দ নয়, তেমনি ইভিএম ত্রুটিমুক্ত নয়, ইভিএমের ওপর জনগণের ন্যূনতম আস্থা নেই। ইভিএম জনগণের কাছে জালিয়াতির বাক্স হিসেবে পরিচিত
আগামী সংসদ নির্বাচনকে নির্বাচনী নাটকে পরিণত করার মহড়া প্রদর্শনীর এই আয়োজন জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে এবং প্রতিরোধ গড়ে তুলবে বলেও মন্তব্য করেন আ স ম আবদুর রব।
তিনি বলেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ না হলে অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে চরম নৈরাজ্য দেখা দেবে এবং দেশ ভূ-রাজনীতিতে গভীর সংকটে পড়বে, যা দেশের অগ্রগতি ও স্থিতিশীলতায় কোনোভাবেই সহায়ক হবে না। উপায় অবিলম্বে এই গণবিরোধী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, নির্বাচনে ইভিএমের সিদ্ধান্তে ব্যাপক প্রভাব পড়বে রাজনৈতিক দলগুলো ওপর। কারন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের অন্তরায় ইভিএম পদ্ধতি। আগামী নির্বাচন গ্রহনযোগ্য করতে এমন আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার কথা জানায় কমিশনকে জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব।