বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। দুই দিন ধরে পূর্ণাঙ্গ ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি। বিশ্লেষকরা দীর্ঘ বিলম্বকে অস্বাভাবিক বলেছেন। এমনকি এই বিলম্বের কারণে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নির্বাচনী কারচুপির অভিযোগ করেছে। এবার মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে নির্বাচনী কারচুপির অভিযোগ নিয়ে কথা বলেছে।
শনিবার, রিপাবলিকান সদস্য মাইকেল ম্যাককল, ইউএস হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস ডিপার্টমেন্ট অফ ফরেন রিলেশনসের (হাউস অফ ফরেন অ্যাফেয়ার্স) চেয়ারম্যান সোশ্যাল মিডিয়া এক্স ডনের খবরে পাকিস্তানের নির্বাচন সম্পর্কে কথা বলেছেন।
মাইকেল ম্যাককল পাকিস্তানের জনগণের নির্বাচনে তাদের ব্যাপক অংশগ্রহণের জন্য প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, নির্বাচনে কারচুপি বা দুর্নীতির অভিযোগের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করতে হবে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের জবাবদিহি করতে হবে।
ম্যাককল বলেন, যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের জনগণের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের অধিকারকে সমর্থন করে যা আইনের শাসন ও মানবাধিকারকে সম্মান করে।
এর আগে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী মালালা ইউসুফজাই পাকিস্তানের নির্বাচন নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়া এক্স-এ একটি পোস্টে নোবেল বিজয়ী বলেছেন যে পাকিস্তানে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দরকার, যেখানে ভোট গণনার স্বচ্ছতা থাকবে এবং ফলাফলের প্রতি সম্মান থাকবে। আমি বিশ্বাস করি, বরাবরের মতো আজকেও ভোটারদের সিদ্ধান্তকে আমাদের সদয় মেনে নিতে হবে।
নির্বাচন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে নোবেল বিজয়ী বলেন, আমি আশা করি আমাদের নির্বাচন কর্মকর্তারা পাকিস্তানের জনগণের জন্য সমৃদ্ধি ও গণতন্ত্রকে অগ্রাধিকার দেবেন, তারা সরকারী বা বিরোধী দলেরই হোক না কেন।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়। এ বছর পাকিস্তানের জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে ১৭,০০০ এরও বেশি প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৮০ লাখ। তাদের ভোটই নির্ধারণ করে আগামী পাঁচ বছর পরমাণু শক্তিধর এই দেশে কারা ক্ষমতায় থাকবে।
এখন পর্যন্ত ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, ইমরান সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এখনও নওয়াজ শরিফ বা বিলাওয়াল ভুট্টোর চেয়ে অনেক এগিয়ে। তবে পিছিয়ে থাকলেও নওয়াজের পিএমএল-এন এবং বিলাওয়ালের পিপিপি জোট সরকার গঠনের ঘোষণা দিয়েছে। দুটি জরিপে দলটি যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে।