মানুষ সামাজিক জীব, মানুষের পক্ষে সমাজের বাইরে ও নিঃসঙ্গভাবে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। বিভিন্ন সময় এই বিষয়টি মানুষ উপলদ্ধি করতে পেরেছে। এবারের ঘটনাটি তেমনই একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো, নিঃসঙ্গত কাটাতে মানসিক ভারসাম্যহীন এক ভিক্ষুক বিয়ে করে সংসার শুরু করার ঘটনা সামনে এসেছে। বার্ধক্যে একা না থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীকে বিয়ে করেছে ঐ ভিক্ষুক। এবং তাকে নিয়েই ভিক্ষাবৃত্তি করে চালাচ্ছেন সংসার। খবরটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর অসহায় দম্পতির পাশে এসে দাড়ালো সেখানকার ইউএনও।
জানা গেছে, উপজেলার বৈতকান্দি ( Baitkandi ) ইউনিয়নের দরকপুর ( Darakpur ) গ্রামের নুর ইসলামের ( Nur Islam ) প্রথম স্ত্রীর প্রয়ানের পর তিনি বিভিন্ন সময়ে মানসিক প্রতিবন্ধী নারীদের বিয়ে করলেও তারা হারিয়ে যেতে থাকেন। গত রমজানে পৌরসভা আমুকান্দা বাজার থেকে অজ্ঞাত পাগল জান্নাতকে (৩০) বিয়ে করে বর্তমানে সোংসর করছেন।
এবার হারিয়ে যাওয়ার ভয়ে তিনি তার ১৯তম স্ত্রীকে কোমরে শিকল ও দড়ি দিয়ে বেঁধে ভিক্ষা করে সংসার চালান। তার ২ শতাংশ জমির পাশে একটি ছোট কুঁড়েঘরে থাকেন। খবর সুনে রোববার ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শীতেশ চন্দ্র ( Shitesh Chandra ) সরকার তাদের ত্রাণ ও আর্থিক সহায়তা দেন। পরিবারকে ঘর তৈরি করতে হবে বলে জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শীতেশ চন্দ্র ( Shitesh Chandra ) সরকার। খবর প্রকাশের পর রোববার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শীতেশ চন্দ্র ( Shitesh Chandra ) সরকার ফুলপুরে শিকলব’ন্দী ভিক্ষুক পরিবারকে ত্রাণ ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, কবি, মনিষী ও জ্ঞানীরা বলে গিয়েছেন, ভালোবাসা দিয়ে পৃথিবী জয় করা যায়। এই ভিক্ষুকের সহধর্মিনী যেহেতু মানসিক ভারসাম্যহীন, যেকোনো সময় হারিয়ে যেতে পারে। এবং মানসিক ভারসাম্যহীনতার কারনে অজান্তে চলে যেতে পারে। তাই তার কাছ থেকে না চলে যেতে পারে, এজন্য কৌশল অবলম্বন করে দড়ি দিয়ে নিজের শরীরের সাথে বেঁধে রাখেন মানসিক ভারসাম্যহীন সহধর্মিনীকে।