ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমনি কিছুদিন আগে আলোচনার শীর্ষে ছিলেন। এই নন্দিত অভিনেত্রী নিজের নামের মতোই অভিনয় আর চেহারা দিয়ে তার দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। গত কয়েকমাস সময় ধরে তার জীবনে যেটা ঘটেছিল সেটার মাধ্যমে তিনি জীবনের বড় অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। নিষিদ্ধ দ্রব্যের মামলায় জড়ানোর কারণে তাকে সা’জা পেতে হয়েছে এবং আবার কখনও তাকে সহ্য করতে হয়েছে বিভিন্ন হু’মকি। তাছাড়া খারাপ কাজের হয়রা’নির জন্য এ থা’না ও থা’না করতে হয়েছে।
মামলা করতে থা’নায় যেতে হয়েছে এই অভিনেত্রীকে, কখনো আইনশৃঙ্খলা বা/হি’নীর হাতে আটক, কখনো গ্রেফ’তার, কখনো রিমা’ন্ড, আবার কখনো আদালতে হাজিরা দিতে হয়েছে। ‘জীবন একটি সাপলুডুর কোর্ট’ ফে’সবুক পেজে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এমনটাই জানিয়েছেন পরীমনি।
বিভিন্ন সময় কারণে-অকারণে পরীমনিকে পরতে হয়েছে সমালোচনার মুখে। নি’ন্দুকের কথায় কান না দিয়ে রুপালি জগতের ঝলমলে আলোয় নিজেকে আলোকিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি। জীবনের ঘটে যাওয়া এসব ঘটনার তোয়া’ক্কা না করে সিনেমার কাজে ধ্যানমগ্ন হয়ে থাকতে চাচ্ছেন তিনি। আগামী দিনেও সেই আগের লাইট, ক্যামেরা আর অ্যাকশন নিয়েই তিনি ব্যস্ত থাকতে চাচ্ছেন। ডুবে আছেন স্ক্রিপ্টের নতুন নতুন সব চরিত্রে।
উল্লেখ্য, নারীঘটিত খারাপ কাজ ও হ’/ত্যাচেষ্টার অভিযোগে নিজের দা’য়ের করা মামলায় অভিযোগপত্র গ্রহণের বিষয়ে শুনানিতে ১ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় হাজির হন পরীমনি। আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন দুই আ’সা/মি নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী ওরফে অমি। আদালত তাদের জা’মিন মঞ্জুর করেন।
এদিকে মামলাটি একতরফাভাবে তদন্ত করা হয়েছে এবং কোনো ধরনের স্বচ্ছতা না রেখেই সেটা করা হয়েছে বলে আদালতে দাবি করেছেন পরীমনি। তিনি আদালতকে বলেন, আমি যতদূর জানি তদন্ত সঠিকভাবে করা হয়নি। তাই তিনি মামলার পুনঃতদন্তের জন্য নাজারি পিটিশনের আবেদন করেছেন। পরীমনি সাম্প্রতিক সময়ে আদালতে হাজিরা দিয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাসটি দিয়েছেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক মাধ্যমে তেমন হাজির করছেন না যেটা আগে করতেন।