সম্প্রতি বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনার সাথে ছাত্রলীগে নেতারা জড়িয়ে পড়ায় ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হচ্ছে। যার কারনে দলের সম্পর্কে নেতিবাচক ধারনা জন্ম নিচ্ছে সমাজে। এসব কারনে দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ পড়ছে নানা প্রশ্নের মুখে। দীর্ঘ দিনি ক্ষমতায় থাকার কারনে এমন পরিস্থিতি তৈরী হচ্ছে বলে অনেকে মন্তব্য করেছেন। রানার দাবি অডিও ক্লিপ তার না, ফেনসিডিল নয় স্পিড পান করেন অমি মন্তব্য করে যা জানালেন তারা।
সম্প্রতি এক নারী নেত্রীকে ফোন করে অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়ার যে অডিও ফাঁস হয়েছিল, সেটি নিজের নয় বলে দাবি করেছেন রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগ সভাপতির সাকিবুল ইসলাম রানা। আর তার সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন অমি দাবি করছেন, ভাইরাল হওয়ার ভিডিওটিতে যে পানীয় দেখা গেছে সেটি ফেনসিডিল নয়, বরং স্পিড।
রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে রানা ও অমি এসব দাবি জানান। এ সময় আত্মপক্ষ সমর্থন করে তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিবুল ইসলাম রানা দাবি করেন, তিনি কখনো শিবির বা ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন। নিজেদের সংগঠনের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরাই এসব ষ/ড়যন্ত্র করছে। আর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান রাজীবের দেওয়া বক্তব্যও অসত্য বলে দাবি করেন তিনি। এছাড়া সম্প্রতি ফাঁস হওয়া অডিও ক্লিপটিও তার নয়।
রানার বক্তব্যের পর কাটাখালী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সামার ব্যক্তিগত চেম্বারে উপস্থিতির কথা স্বীকার করেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন অমি। তিনি বলেন, তিনি বলেন, সেখানে থাকা অবস্থায় আমি ফেনসিডিল না কোমল পানীয় স্পিড পান করেছিলাম। এ সময় ফেনসিডিল সেবনের ভিডিওটি সুপার এডিটিং করা বলেও দাবি করেন তিনি।
তার বিরুদ্ধে দলীয় কর্মীদের মা/রধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অমি। তিনি দাবি করেন, দলের ভেতর থেকেই পরিকল্পিতভাবে তাকে ও তার সভাপতি রানাকে জামায়াত-বিএনপি বানিয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষেরা তাদের সবার বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে।
তারা জানান, অভিযোগ তদন্তে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ একটি কমিটি গঠন করেছে। কমিটির সদস্যরা নিরপেক্ষভাবে পুরো বিষয়টি তদন্ত করলেই সব বিষয় পরিষ্কার হয়ে যাবে।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সংবাদ সম্মেলনের পর অভিযোগ ও সংশ্লিষ্ট ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করে সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
কিছুদিন আগে রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিবুল ইসলাম রানার একটি ফোন কলের কিছু অংশ (৪ মিনিট ২৯ সেকেন্ডের ক্লিপ) ভাইরাল হয়। এতে শোনা যায় তিনি এক নারী নেত্রীকে ‘মেয়ে দেওয়ার’ কথা বলছেন। আপত্তিকর প্রস্তাব দেওয়ার পাশাপাশি নিজেকে সব চিটারের দলের সর্দার বলে দাবি করেন রানা। আরেক ভিডিওতে সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন অমিকে এক নেতার চেম্বারে বসে ফেনসিডিল সেবন করতে দেখা যায়।
এ দুটি ঘটনায় দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ঘটনা তদন্তে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে সেটি প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্র দাবি করেন তারা। তবে এ বিষয়ে নিয়ে এখনো কিছু বলেনি কেন্দ্রীয় নেতারা।