গত ১০ বছর ধরে ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীর গালি খেতে খেতে অস্থির হয়ে আছেন বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ। তিনি বলেন, আপনারা অনেকেই নিক্সনের আসল স্বরূপ জানেন না। ওই চোররে কয় কত চুরি কর, পুলিশকে বলে ধর ধর? যারা ফরিদপুরের বাইরে থেকে খাল কেটে কুমির নিয়ে এসেছেন তারা এখন দুঃখ করছেন।
রোববার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাজী জাফর উল্লাহ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আজ সারা দেশে হরতাল ডেকেছে বিএনপি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বৈঠক হবে, সবাইকে ঢাকায় থাকতে হবে। আমি আপনাদের মিটিংয়ে থাকব বলে চলে এসেছি। ভেবেছিলাম প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রতিদিন সভা করতে পারব। আপনাদের ভালোবাসি বলেই এসেছি।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, নিক্সন বলেন, কাজী পরিবার ৪০ বছর ধরে এ এলাকায় ক্ষমতায় থাকলেও এলাকার কোনো উন্নয়ন করেনি। আরে নিক্সন তোমার জন্মের আগে আমার বাবা কাজী মাহবুবুল্লাহ পাকিস্তান আমলে ভাঙ্গা কলেজ করেছেন। ওই সময় এলাকা ও আশপাশের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী এখান থেকে ডিগ্রি পাস করেছে।
তিনি বলেন, নিক্সন বলেছেন গত ১০ বছরে আমি এলাকার জন্য কিছু করিনি। আমি ১০ বছর ক্ষমতার বাইরে ছিলাম, তাছাড়া এই ১০ বছর আমি নিক্সনের গালি খেতে খেতে অস্থির। নিক্সন এলাকার মানুষের উন্নয়ন করেননি, নিজের উন্নয়ন করেছেন। কথা ও কাজে নিক্সনের কোনো মিল নেই।
কাজী জাফর উল্লাহ বলেন, হিন্দু পরিবার, সরকারি জমিসহ বিভিন্ন ধরনের জমি দখল করে নিয়েছে। নিক্সন এক শিক্ষকের সাত বিঘা জমি দখল করেছেন। শিক্ষক নিক্সনকে অনুরোধ করেন ওই জমি না নিতে। কিন্তু নিক্সন শুনলেন না, তারপর শিক্ষক মারা যান।
তিনি বলেন, আমি আপনাদের মহামূল্যবান প্রতীক নৌকায় ভোট চাই। কারণ আপনারা ভোট দিলে আমি আপনাদের সততার সাথে সেবা করতে পারব। আমি বালু বিক্রি করি না, টাকার লোভ করি না, এখন টাকা দিয়ে কী করব? টাকা খরচ না করলে কাজে লাগবে না। আমি আপনাদের মত গরীব অসহায় মানুষের সেবা করতে চাই। আমি তোমার ভাগ্য বদলাতে চাই। এছাড়া আমার কোন অনুরোধ নেই।
উঠান বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ নেতা সোলেমান সিকদার। এ সময় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ নেতা ইসহাক মিয়া, আহসানুল হক, মোশাররফ হোসেন, বেলায়েত হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তামজিদুল রশিদ চৌধুরী প্রমুখ।