বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী হঠাৎ শারীরিক ভাবে অসুস্থ হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি বলে পরিবার থেকে জানা যায়। পরে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় মা/রা যান।
জাতীয় সংসদের উপনেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী মা/রা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃ/ত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।
রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টা ৪০ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃ/ত্যু হয়। সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর ছেলে শাহদাব আকবর চৌধুরী লাবু গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃ/ত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ১৯৫৬ সাল থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত। তিনি ১৯৬৯–১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি কলকাতা গোবরা নার্সিং ক্যাম্পের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন। ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
১৯৭২-১৯৭৫ সময়কালে বাংলাদেশ নারী পুনর্বাসন বোর্ডের পরিচালক, ১৯৭২-১৯৭৬ সময়কালে বাংলাদেশ গার্ল গাইডের ন্যাশনাল কমিশনার এবং ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯২ সাল থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক প্রদত্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ১৯৩৫ সালের ৮ মে মাগুরা জেলায় মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। র পিতার নাম সৈয়দ শাহ হামিদ উল্লাহ এবং মাতা সৈয়দা আছিয়া খাতুন। শিক্ষাজীবনে তিনি স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ধরে তিনি আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন এবং পালন করেছেন দলের শীর্ষ নেতা হিসেবে। আওয়ামীলীগের রাজনীতি তার গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রয়েছে।