ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ বলেছেন, দেশের জনগণ সরকারের ডামি নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। প্রহসনের নির্বাচনে তারা ভোট দেয়নি। যে পরিমাণ কমেছে তা সরকারের মুখে চপেটাঘাত। সোমবার (৮ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত জরুরি সভায় সভাপতির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
ইউনুস আহমাদ বলেন, নগণ্য সংখ্যক ভোটে কারচুপি ও স্ফীত হয়েছে। জাল নির্বাচনে কারচুপির ফলাফল দেখিয়ে এটাকে গ্রহণযোগ্য করার নিরর্থক প্রচেষ্টা কোনো কাজে আসবে না। পক্ষপাতদুষ্ট ও পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচন কমিশন (ইসি) অনেক নাটকীয়তার পর ৪০% ভোট দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আসলে ১০ শতাংশও কাস্ট করা হয়নি। তাও দলীয় নেতা-কর্মীদের জাল ভোটের মাধ্যমে। তাই এটি গ্রহণযোগ্য পছন্দ হতে পারে না। এই প্রহসনমূলক ডামি নির্বাচন বাতিল করে অবিলম্বে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে।
তিনি বলেন, জনগণ ভোট বর্জন করে সরকারকে যোগ্য জবাব দিয়েছে। তাই ডামি নির্বাচন বাতিল করে জাতীয় সরকারের অধীনে ঘোষিত নতুন তফসিল জনগণের প্রাণের দাবি। পাশাপাশি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে দেশকে ভয়াবহ বিপর্যয় থেকে রক্ষা করতে হবে। জনগণকে নতুন উদ্যমে আন্দোলন-সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে।
মহাসচিব বলেন, সরকারের জবরদস্তি, ভয়ভীতি ও লোভ উপেক্ষা করে অধিকাংশ মানুষ ভোট বর্জন করে সরকারকে সতর্ক সংকেত দেখিয়েছে। জনমত উপেক্ষা করে সরকার গঠিত হলে রাজনৈতিক সংকট আরো ঘনীভূত হবে।
জরুরি বৈঠকে একতরফা প্রহসনের নির্বাচন বাতিল করে জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) বেলা ৩টায় বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহ-মহাসচিব হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, কৃষিবিদ আফতাব উদ্দিন, মাওলানা আতিকুর রহমান, মাওলানা আহম্মেদ উদ্দিন প্রমুখ। বর্তমান আব্দুল কাইয়ুম, মাওলানা লোকমান হুসাইন জাফরী, আলহাজ্ব হারুন অর রশীদ, মাওলানা মোহাম্মদ নেছার উদ্দিন, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, আলহাজ্ব আব্দুল রহমান, এডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হুসাইন, মাওলানা খলিলুর রহমান, জিএম রুহুল আমিন, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, মাওলানা মো. আউয়াল মজুমদার প্রমুখ।
এর আগে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) এবং পরদিন বুধবার (১০ জানুয়ারি) লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করবে দলটি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এটাই তাদের প্রথম কর্মসূচি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে দুই দিনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। মঙ্গলবার ও বুধবার দেশব্যাপী গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করবে দলটি।