মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্যক্তি ও সংস্থার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে থাকে। এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা সাধারণত নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে শাস্তি দেওয়ার জন্য দেওয়া হয়। নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় যেসব দেশে ওই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের যাতায়াত, বিনিয়োগ বা স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় রয়েছে। কখনো কখনো এক দেশ প্রতিশোধ হিসেবে অন্য দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
অবশেষে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার প্রতিরক্ষা, জ্বালানি ও আর্থিক খাতের পাশাপাশি অভিজাত প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে। খবর তাস ও এবিসি নিউজ।
১৪ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন-এর একটি লিখিত বিবৃতি অনুসারে, স্টেট ও ট্রেজারি বিভাগ ১৫০ টিরও বেশি রাশিয়ান ব্যক্তি এবং সংস্থার উপর অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে। কারণ, ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযানে চলমান থাকার কারণে তারা নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে।
মার্কিন শীর্ষ কূটনীতিক বলেছেন, ‘আজকের নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য হচ্ছেন যারা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রুশ অভিযানকে আরও ভয়ঙ্কর ও যুদ্ধ চালানোর ক্ষমতাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে জড়িত এবং যারা রাশিয়ার ভবিষ্যত জ্বালানি শক্তি উৎপাদনকে বেগবান করার জন্য দায়ী। `
মার্কিন ট্রেজারি থেকে অনুরূপ বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, নিষেধাজ্ঞাগুলি ‘রাশিয়ার অভিজাত এবং এর শিল্প ভিত্তি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং প্রযুক্তি সরবরাহকারীদের উপর’ আরোপ করা হয়েছে।
ব্লিঙ্কেন-এর মতে, স্টেট ডিপার্টমেন্ট বর্তমান নিষেধাজ্ঞাগুলি বাস্তবায়ন করছে যার উদ্দেশ্য শুধুমাত্র রাশিয়ান তেল ও গ্যাস উৎপাদন সীমিত করা নয়, রপ্তানি ক্ষমতা সীমিত করা এবং অ”স্ত্র উৎপাদন কমানোর জন্যও।
এর আগে, ২৪ আগস্ট, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার দুটি কোম্পানি এবং ১১ ব্যক্তির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। এই নিষেধাজ্ঞা আগস্টের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়াবে।ইউক্রেনীয় শিশুদের অপহরণ, বাস্তচ্যুত এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে রুশ দুটি প্রতিষ্ঠান ও ১১ নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। তাদের বিরুদ্ধে ইউক্রেনে রুশ অভিযানের সময় শিশুদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। ২৪ আগস্ট মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে।