সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ও সমালোচিত তারকা আশরাফুল আলম সাইদ ওরফে হিরো আলম কখনো গায়ক আবার কখনো অভিনেতা হিসেবে সবার সামনে হাজির হন। গান আর অভিনয়ে মজার মানুষ হলেও মনে হয় নিজের গতিতে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তবে অনেকে তার এমন কর্মকান্ডে বিরক্ত অনেকে।
কিছুদিন আগে তিনি গেয়েছেন রবীন্দ্রসংগীতের ‘আমার পরানো যাহা চাই’। শুধু তাই নয়, ওপার বাংলার কিংবদন্তি শিল্পী মৌসুমী ভৌমিকের ‘আমি শুনেছি সেদিন তুমি’ গানটি গেয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন হিরো আলম। বলিউড গায়ক কৃষ্ণকুমার কুন্নাথের মৃত্যুর পর তার জনপ্রিয় গান ‘জিন্দেগি দো পাল কি’ গেয়ে সমালোচিত হন।
ভাইরাল রোগে আ/ক্রান্ত এই হিরো আলম সারা দেশের সংস্কৃতিকে অসম্মান করছেন বলে মনে করছেন অনেকে। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সংস্কৃতি বিরোধী সংগঠন (বপস) নামের একটি সংগঠন। সংগঠনটির সভাপতি প্রযোজক ও পরিচালক বিপ্লব শরীফ এবং সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম কাজল।
সুস্থ সংস্কৃতি বিকৃতির বিরুদ্ধে কাজ করা সংগঠনটির সভাপতি বিপ্লব শরীফ বলেন, তাই আজ তার বিরুদ্ধে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করব। ‘
তিনি আরও বলেন, “দেশের মানুষ এই হিরো আলমকে প্রশ্রয় দিয়েছে। আর সে কারণে সে মানুষের আবেগ ও দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। তার বিরুদ্ধে আরও নানা অভিযোগ রয়েছে। আমরা রবীন্দ্রসঙ্গীত বিকৃত করার দায়ে তাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি। কয়েক দিন আগে. ‘
সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম কাজল বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে লক্ষ্য করছি হিরো আলম দেশের মানুষকে নানাভাবে অস্থির করে তুলেছেন। তার কর্মকাণ্ডে দেশের মানুষ নীরব থাকলেও আমরা ডাকতে পারছি না। আজকের এই আন্দোলনের জন্য।আমরা বাংলাদেশ সংস্কৃতি বিরোধী সংস্থার (বিওপিএস) মাধ্যমে সকল অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলব।” তিনি দেশবাসীকে সংগঠনের সঙ্গে থাকার আহ্বান জানান।
এছাড়া তার পরিবার ভেঙ্গে গেছে, এই ধরনের অপপ্রচার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল বিগত কিছুদিন আগে, ঘটনার উল্লেখ করে হিরো আলম বলেন, আমাদের মধ্যে সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। তাতে আপস করা হয়েছে। এখন আমরা একসাথে বসবাস করছি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হবেন বলেও জানান হিরো আলম। তবে এই মানববন্ধন সম্পর্কে আলমের কাছ থেকে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।